মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা : মাদারীপুর জেলার শিবচরের কাওড়াকান্দি ঘাটে লেগে রয়েছে যানজট। লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটের সড়কে যত্রতত্রভাবে রাখা হয়েছে ইজিবাইক, মাহিদ্রা, সবুজবাংলা গাড়ি। ফলে লঞ্চ, স্পিডবোট থেকে যাত্রীরা নেমে মহাসড়কে উঠতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। তাছাড়া এই স্থানে ছোট গাড়িগুলো রাখা এবং যাত্রী উঠানোয় সড়কজুড়ে লেগে রয়েছে তীব্র যানজট।
রোববার সকালে সরজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাওড়াকান্দি ঘাট থেকে বাখরেরকান্দি পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তায় দূর পাল্লার পরিবহনে আটকে রয়েছে রাস্তার একপাশ। অপর পাশ দিয়ে যাত্রীবাহী পরিবহনের মাঝে ছোট ছোট গাড়িগুলো প্রবেশ করায় দুই কিলোমিটার পথ পার হতে ঘণ্টা পার হয়ে যাচ্ছে কখনো কখনো। তাছাড়া যানজটের কারণে ঘাট থেকে নেমে প্রায় আড়াই কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে যাত্রীদের পৌঁছাতে হচ্ছে গন্তব্যের পরিবহনের নিকট। ফলে সকাল থেকেই দুর্ভোগ নেমে এসেছে যাত্রীদের উপর। তারপর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে দুর্ভোগের পরিমান একটু বাড়িয়ে দিয়েছে বলে যাত্রীরা জানান।
খুলনাগামী যাত্রী উর্মি আক্তার বলেন, লঞ্চ থেকে নেমে মহাসড়কে উঠতেই লেগে গেছে বিশ মিনিট। যেখানে পাঁচ মিনিটের পথ। বৃষ্টিতে কাদা হওয়ায় এবং অপ্রশস্ত রাস্তার পুরোটাজুড়েই ছোট ছোট গাড়িতে আটকা থাকায় ঘাট থেকে নেমে বিপাকে পরতে হয়েছে। অপর একযাত্রী জানান, ঘাট থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে তারপর গাড়িতে উঠতে হয়েছে। রাস্তায় ব্যাপক গাড়ির জট লেগে আছে। রোববার দুপুরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কাওড়াকান্দি ঘাটে যাত্রীদের প্রচÐ ভিড় দেখা গেছে এবং ঘাট এলাকায় প্রায় তিন কিলোমিটার পথে তীব্র যানজট লেগে রয়েছে।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান আহমেদ বলেন, যানজট নিরসনে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। লঞ্চ ঘাটের রাস্তার ছোট ছোট গাড়ি যানজট সৃষ্টি করলে আমরা ব্যবস্থা নেব। গত ঈদ মৌসুমে লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটের রাস্তায় কোন ছোট গাড়ি ছিল না। পুরো রাস্তাটাই ছিল যাত্রীদের পায়ে হেঁটে মহাসড়কে উঠার জন্য।
মন্তব্য করুন