শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

চীন থেকে গার্মেন্টস এক্সেসরিজের ৫০ শতাংশ আমদানি হয়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম

করোনাভাইরাসের প্রভাবে আগামী ৫ থেকে ৬ মাস যদি চীন থেকে পণ্য না আসে বা বন্ধ থাকে তাহলে রফতানিখাতে প্রায় ১২শ’ থেকে ১৫শ’ কোটি টাকার সম্ভাব্য ক্ষতি হবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ এন্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ)। গতকাল রাজধানীর কারওয়ানবাজারে একটি হোটেলে বিজিএপিএমইএ আয়োজিত ‘গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্পখাতে করোনাভাইরাসের প্রভাব’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন সংগঠনটির সভাপতি মো. আব্দুল কাদের খান। তিনি বলেন, চীন থেকে মোট এক্সেসরিজের ৪০ বা ৫০ শতাংশ আমদানি করা হয়। আমাদের যে চাহিদা রয়েছে এতো অল্প সময়ে কাছাকাছি দেশ ভারতসহ অন্য কেউ এই সাপোর্ট দিতে পারবে না। তবে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি যদি চীনের কারখানাগুলো খুলে যায় তাহলে আমাদের চাহিদা পূরণে সময় লাগবে না। যদি কোনো কারণে সেটা না হয় তাহলে রফতানির জন্য বিকল্প পথ খুঁজতে হবে।

মো. আব্দুল কাদের খান বলেন, আমরা লোকাল মার্কেট থেকে কিছু কিছু পণ্য কিনতে গিয়ে দেখছি কোনো কোনো পণ্যে শতভাগ দাম বেড়ে গেছে। অর্থাৎ কিছুটা হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, অনেকের পণ্য পোর্টে আসলেও ডকুমেন্টস নেই। আবার ডকুমেন্টস আছে পণ্য নেই। চীনের ব্যাংকগুলো বন্ধ। সবমিলিয়ে সমস্যা কিন্তু তৈরি হয়ে গেছে।

সংগঠনটির উপদেষ্টা রাফেজ আলম চৌধুরী বলেন, এ অবস্থা দীর্ঘায়িত হলে অনেক কারখানা টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে। এখন যদি জিরো শতাংশে ব্যাংকলোনও দেওয়া হয় তাহলেও সার্ভিস দেওয়া কষ্টসাধ্য। সুতরাং এখানে এখন সরকারের পক্ষ থেকে কিছু থোক বরাদ্দ প্রয়োজন। একই সঙ্গে কাস্টমস ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ সকলের সহযোগিতা থাকতে হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিএপিএমইএ’র দ্বিতীয় সহ-সভাপতি মোজাহারুল হক শহিদ, সহ-সভাপতি (অর্থ) মনির উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত অর্থবছরে এই সেক্টরে মোট রফতানি হয়েছে ৭ বিলিয়ন ডলার। যার মধ্যে সরাসরি রফতানিই ছিল ১ বিলিয়ন ডলার।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন