বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

করোনা আতঙ্কে টাকা পোড়ানোর সিদ্ধান্ত চীনে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৫:৩৩ পিএম

চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘোষণা করেছে যে, সংক্রমণ রোধে করোনাভাইরাস উপদ্রুত অঞ্চল থেকে সংগৃহীত নগদ অর্থ ধ্বংস করে ফেলা হবে। শনিবার পিপলস ব্যাঙ্ক অফ চায়না বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সংক্রমিত অঞ্চলগুলো থেকে সংগৃহীত কাগুজে নোটগুলো আলাদা করে রাখতে এবং সেগুলো পরিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে হস্তান্তর করার নির্দেশ দিয়েছে।

জানা গেছে, চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিছু নোট জীবাণুমুক্ত করবে এবং সেগুলি আবার ফিরিয়ে দেয়ার আগে ১৪ দিনের জন্য সংরক্ষণ করবে। টাকা জমা দেয়ার আগে সেগুলো কোন জায়গা থেকে আনা হয়েছে ব্যাংককে তা জানাতে হবে গ্রাহকদের। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এই ধরনের ব্যবস্থা সম্পূর্ণ কার্যকর করা কঠিন হবে।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ফ্যান ইয়েফেই বলেছেন, ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে ব্যবহৃত সকল কাগুজে নোট দ্রুতই নষ্ট করে ফেলা হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এরই মধ্যে সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এবার প্রায় ৬০ হাজার কোটি ইউয়ান নষ্ট করে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে দেশের সব ব্যাংকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনাও পাঠানো হয়েছে।

নতুন জারিকৃত নির্দেশনায় বলা হয়, চীনের কোনো ব্যাংকে এখন থেকে আর কাগজের নোট গ্রহণ করা হবে না। দ্রুত নতুন নোট বাজারে ছাড়া হবে। প্রক্রিয়াটি আগামী ১৪ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। তাছাড়া নতুন নোট বাজারে ছাড়ার আগে তা পুরোপুরি জীবাণুমুক্ত করা হবে। আপাতত পুরনো মুদ্রা নিজেদের সংগ্রহেই রাখবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এ দিকে বেইজিং সরকারের আকস্মিক কাগুজে নোট পোড়ানোর সিদ্ধান্তে দেশে চরম অর্থসংকট দেখা দিতে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। কেননা চিকিৎসার জন্য করোনায় আক্রান্ত এলাকাগুলোর বাসিন্দারা যেসব কাগুজে নোট ব্যবহার করছিলেন, এখন থেকে সেগুলোর আর কোনো গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না।

বিশ্লেষকদের মতে, একজনের হাত থেকে মুদ্রাগুলো যাচ্ছে অন্যজনের হাতে। মূলত তা থেকেও সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। তাই পুরনো মুদ্রা, বিশেষ করে হাসপাতাল ও বাজারে ব্যবহৃত নোটগুলো সংগ্রহের মাধ্যমে ব্যাংকের কোষাগারে রাখা শুরু করেছে চীন।

বর্তমানে থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, জাপান, যুক্তরাজ্য, ইসরায়েল, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ভারতসহ বেশকিছু দেশে অজ্ঞাত এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। তাছাড়া আতঙ্কে রয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তানও। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও ভাইরাসের তাণ্ডব শুরু হয়েছে। আক্রান্তদের সবাই সম্প্রতি চীনে ভ্রমণ করেছেন কিংবা সেখানে বসবাস করেন। এমনকি সিঙ্গাপুরেও কয়েকজন বাংলাদেশির করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তারা সকলেই বর্তমানে দেশটিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

করোনা ভাইরাস কীভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এবং মারাত্মক আকার ধারণ করেছে সেটি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করতে যাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নেতৃত্বাধীন একটি দল। তাছাড়া ১ হাজার ৭০০ স্বাস্থ্যকর্মী কীভাবে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সেটি নিয়েও অনুসন্ধান শুরুর ঘোষণা দিয়েছে সংস্থাটি। এই দলে ১২ জন আন্তর্জাতিক ও ১২ জন চীনা গবেষক থাকবেন। সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন