আল আমিন মন্ডল, গাবতলী (বগুড়া) থেকে : পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে বগুড়া শহরসহ গাবতলী উপজেলায় কেনাকাটার ধুম পড়েছে। ক্রেতাদের সমাগমে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজারের বিপণিবিতানসহ মার্কেটগুলোতে ঈদ কেনাকাটায় ভিড় বাড়ছে। ঈদুল ফিতরের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে দোকানপাটগুলোতে বিক্রি বাড়ছে। জানা যায়, বগুড়া জেলার সকল মার্কেটসহ গাবতলী পৌর এলাকায় ও ১১ ইউনিয়নে মার্কেটগুলোতে হাজারো তরুণ-তরুণী প্রতিদিন কেনাকাটা করছে। অনেকেই পরিবার-পরিজনদের জন্য নতুন কাপড়, জুতা, গহনা, শিশুদের পোশাক কিনছে। আবার কেউ কেউ ছুটছে শহরের বড় বড় মার্কেটগুলোতে। নিম্নবৃত্ত মানুষ ছুটছে ফুটপাতের দোকানগুলোতে। এই ঈদে পুরুষদের চেয়ে নারীদের ভিড় চোখে পড়ার মত। গত বছরের চেয়ে এ বছরে পোশাক ও ঈদসামগ্রীর দাম বেড়েছে। টেইলার্সগুলোতে অর্ডার নেয়া ইতোমধ্যে বন্ধ হয়েছে। দর্জিপাড়ায় বাড়ছে কারিগরদের ব্যস্ততা। ফলে নতুন জামা-কাপড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন দর্জিরা। দিনরাত কাপড় সেলাই মেশিনে বসে কাজ করছেন তারা। তবে রেডিমেট পোশাকের চাইতে অনেকের পছন্দ বানোনো কাপড় ব্যবহার করার। এ বছরে দর্জিদের কদর বেড়েছে। রংধনু কালেকশন ও ইউনিক টেইলার্স এন্ড ফেব্রিক্স প্রোপাইটার মোঃ আব্দুল মালেক মালু জানান, এবারে ঈদে বেশ অর্ডার পেয়েছি। দম ফেলানোর সময় নাই। সবচেয়ে বেশি কাজ করতে হচ্ছে কারিগরদের। দিনরাত সমানতালে কাজ করছেন তারা। দোকানে নারী-পুরুষের পাশাপাশি হুজুররা অর্ডার দিয়েছে। তরুণ ক্রেতা অহেদুল ইসলাম খোকন জানান, নতুন রেডিমেট পোশাক কিনেছি। দামটা একটু বেশি। তবুও এ ঈদে নতুন পোশাক চায়। কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী নিপা ও মাহি জানায়, এবার ঈদে লং ড্রেস কিনেছি। তবে কসমেটিক্সের পাশাপাশি মেহেদী রং কিনতে হবে। ইউপি সদস্য মোছাঃ মাজেদা বেগম টুনি জানান, দ্রব্যসামগ্রীর দাম বৃদ্ধি হওয়ায় কেনাকাটা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবুও হতদরিদ্র মানুষের পাশে থেকে সহযোগিতা করছি। আশরাফুল গিফট হাউস প্রোপাইটার মোঃ মিঠু জানান, এ ঈদে বেচাকেনা নেই। ফলে অলস সময় কাটাছি। বিপণি দোকান মালিক মাহবুর, সুলতান, মিজান, পায়েল, লজিক ও কসমেটিক্স দোকান মালিক জাকির, রুহুল আমীন জানান, ঈদে বিক্রি ভাল হচ্ছে। ঈদের সময় যতই এগিয়ে আসছে বিক্রি ততই বাড়ছে। ঈদে কিশোর-কিশোরীরা নতুন পোশাক বেশি কিনছে। তবে তরুণদের পাঞ্জাবি, পায়জামা, শার্ট, টি-শার্ট, জিন্স প্যান্ট, ফতুয়া। আর তরুণীরা কিনছে থ্রি-পিছ, সালোয়ার কার্মিজ, ওড়না, শাড়ি, কসমেটিক্স, জুতা সেন্ডেলসহ সকল প্রয়োজনীয় ঈদসামগ্রী। এছাড়াও পরিবারের প্রধান কর্তাগণ কিনছেন লাচ্ছা সেমাই, চিনি, কিসমিস, বাদাম, দুধ, পাউডার, লুডুলস, আতপ চাল ও মসলা সামগ্রী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন