শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে উরশ শরীফ সম্পন্ন

বরিশাল ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

লাখ লাখ জাকেরান-আশেকান ও মুসল্লিদের বুকফাটা কান্না আর আহাজারী নিয়ে আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে ৪ দিনব্যাপী উরশ শরীফ শেষ হয়েছে গতকাল সকালে। মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের দরবারে পাপের পানাহ চেয়ে সমবেতদের কান্নায় গোটা দরবার শরীফ ও আশপাশের এলাকার পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে। গতকাল ভোররাতে রহমতের সময়ে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, মিলাদ, জিকির এবং মোরাকাবা ও বয়ানের পরে ফজরের নামাজে কয়েক লাখ মুসল্লি অংশ নেন। এরপরে ফাতেহা শরীফ পাঠ শেষে দোয়া মোনাজাত এবং খতম শরীফ পাঠ করেন সকলে।
পুনরায় কোরআন তেলাওয়াত এবং বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের পীর হজরত মাওলানা শাহ সুফি সৈয়দ খাজাবাবা ফরিদপুরী ছাহেবের রওজা শরীফ জিয়ারতের নিয়তে ফাতেহা শরীফ পাঠের পর আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন লাখ লাখ মুসল্লি। পীর ছাহেবের আধ্যাত্বিক উত্তরাধিকারী বড় ছাহেবজাদা আলহাজ খাজা মাহফুজুল হক মুজাদ্দেদী ছাহেবের উপস্থিতিতে তার নির্দেশে হাফেজ নোমানী ছাহেব উপস্থিত সকলকে নিয়ে সম্মিলিতভাবে ফাতেহা শরীফ পাঠ শেষে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন।
এসময় লাখ লাখ জাকেরান-আশেকান ও মুসল্লিরা বুকফাঁটা আহাজারী নিয়ে মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের দরবারে পানাহ চান। প্রায় ৪০ মিনিটের এ মোনাজাতে সকলেই মহান আল্লাহর দরবারে রহমত ও বরকত ভিক্ষা চেয়ে আর্জি জানান। মোনাজাতে সকলেই মনের নেক মকছুদ পুরণেরও দোয়া করেন। ফরিদপুরের বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের প্রথম শনিবার থেকে ৪ দিনব্যাপী উরশ শরীফ অনুষ্ঠিত হয়। তবে মূলত শুক্রবার জুমার নামাজের মাধ্যমেই উরশের সূচনা হয়ে থাকে। মূল কার্যক্রম শুরু হয় মাগরিব নামাজ থেকে। এবারো উরশ শরীফে যোগদানের লক্ষে সারা দেশ থেকে লাখ লাখ জাকেরান-আশেকানসহ বিশ্বের অন্তত ৫০টি দেশ থেকে মুসল্লিরা অংশ নেন। এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ ছাড়াও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরা থেকেও বিপুল সংখ্যক জাকেরান-আশেকান অংশগ্রহণ করেন।
আপন পীর হজরত খাজা ইউনুস আলী এনায়েতপুরী ছাহেবের নির্দেশে বাংলা ১৩৫৪ সালে শাহ সুফি সৈয়দ খাজাবাবা ফরিদপুরী ছাহেব ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার আটরশী গ্রামে ইসলাম প্রচারে নিয়োজিত হয়েছিলেন। সেদিন মাত্র সাড়ে ৬ টাকায় খেজুরের খোলের বেড়া ও ছনের ছাউনি দেয়া ঘর কিনে তিনি আটরশীতে ‘জাকের ক্যাম্প’ প্রতিষ্ঠা করে ইসলাম প্রচার শুরু করেন। কালের বিবর্তনে তা জাকের মঞ্জিল থেকে আজকের বিশ্ব জাকের মঞ্জিল। প্রতিবছরই উরশ শরীফ ছাড়াও পীর ছাহেবের ফাতেহা শরীফে লাখ লাখ মুসল্লির সমাগম ঘটে।
গতকাল সকালে আখেরি মোনাজাতের পরে অংশগ্রহণকারীরা বিদায়ী খানা খেয়ে দরবার শরীফ থেকে যার যার গন্তব্যে রওয়ানা হয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন