স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর চকবাজার থানার ইসলামবাগ ঈদগাঁহ মাঠের পাশের একটি বাড়িতে রাশিদা বেগম (৫৫) ও তার নাতনী বন্যাকে (২০) কুপিয়ে হত্যা করেছে তার মেয়ের জামাই জীবন। এ ঘটনায় বেগমের মেয়ে সীমা (৩০) গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধারের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেল ৩টার দিকে চকবাজারের ইসলামবাগে ছাতা মসজিদসংলগ্ন ইসহাকের বাড়ির চতুর্থ তলায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেগমের এক মেয়ে সুমী গত বছর সন্তান প্রসব করার সময় মারা যান। এরপর থেকে তার দুই সন্তান হাইকোর্টের আদেশে ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত তাদের নানীর কাছেই রাখতেন। কিন্তু সুমির স্বামী জীবন মাদকাসক্ত এবং তার দুই সন্তানকে নিয়ে যেতে চান। মাদকাসক্ত হওয়ায় তাদের নানী বেগম এতে বাধা দেন।
গতকাল বিকালে জীবন তার শাশুড়ির বাসায় গিয়ে তার দুই সন্তান নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু বেগম ও তার মেয়ে এবং নাতনী তাকে বাধা দেন। এসময় জীবন তাদেরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তার দুই সন্তানকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
চকবাজার থানার ওসি শামীম উর রশীদ তালুকদার জানান, ইসলামাবাগে ঘরে ঢুকে দুই নারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি।
অপরদিকে নিহত বন্যার স্বামী জানান, তিনি স্থানীয় একটি দোকানে কাজ করেন। খবর পেয়ে বাসায় ফিরে রক্তাক্ত অবস্থায় তিনজনকে দেখতে পান। তবে বেগম ঘটনাস্থলেই মারা যান। আর বন্যাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আর আহত সীমার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন ঢামেক হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন