শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

কী ঘটেছিল বেনাপোলে?

করোনা রোগী সন্দেহ

যশোর ব্যুরো ও বেনাপোল অফিস | প্রকাশের সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

ভারত থেকে বন্ধন ট্রেনে জহিরুল নামে বাংলাদেশী যাত্রীকে করোনাভাইরাস রোগী সন্দেহ করে হৈ চৈ তৈরি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার। রোগী খোঁজাখুঁজি এবং ছাড়পত্র নিয়ে ট্রেন বেনাপোলে আটকে থাকে প্রায় ৩ ঘণ্টা। করোনা রোগী সন্দেহ করেছেন কোলকাতা রেলের টিটি নিজেই। তবুও তাকে বিনা টিকিটে গার্ডের হাতে তুলে দেয়া হয়। কোলকাতা থেকে খুলনাগামী বন্ধন ট্রেনের সিনিয়র গার্ড কৃষ্ণেন্দু বোসের করোনা রোগী সন্দেহের লিখিত নোট পান কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা।

খবর পেয়ে কাস্টমস কর্মকর্তারা তটস্থ হয়ে পড়েন। ইত্যবসরে ট্রেনযাত্রী জহুরুল ট্রেনের ভেতরে লুকিয়ে থাকায় সন্দেহ আরো ঘণীভ‚ত হয়। পরে পাসপোর্ট ও কাগজপত্র দেখে জহিরুলকে সনাক্ত করা হয়। পাসপোর্ট দেখে গার্ডের দেয়া তথ্যের সাথে নামের মিল পান ও জহিরুলকে বের করে নিয়ে আসেন। তার পাসপোর্টে চীনের ভিসা ও সম্প্রতি চীন ফেরত এবং শরীরের তাপমাত্রা মেপে প্রাথমিকভাবে তার মধ্যে লক্ষণ দেখে করোনা রোগী বলেই সন্দেহ করেন কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা (আরও) কামরুল ইসলাম।

তার কাছ থেকে জেনে তাৎক্ষণিকভাবে বেনাপোলের কাস্টমস কমিশনার বেলাল চৌধুরী বেনাপোলের দশ হাজার যাত্রী, বসবাসকারী হাজার হাজার সরকারি কর্মচারী ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য কাস্টমসের পক্ষ থেকে সতর্ক করে ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দেন। পরবর্তীতে ডাক্তাররা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন করোনা রোগী নয়। পরক্ষণেই ‘করোনাভাইরাস নেই’ মর্মে চিকিৎসকের সনদ পাবার পরপরই সেই পোস্ট ডিলিট করা হয়।
কাস্টমস সূত্র জানায়, কাস্টমস কর্মকর্তারাও পলাতক যাত্রীর সম্ভাব্য পলায়ন ঠেকাতে ও বাড়তি সতর্কতার জন্য ফেসবুকে প্রচারের উদ্যোগ নেন। কাস্টমস কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, চেকপোস্টে কর্মরত কর্মকতাদের সতর্কতার জন্য যাত্রীর ছবি ও পাসপোর্টের ছবি ফেসবুকে দেয়া হয়।

বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরী জানান, বিষয়টি চিকিৎসকদের সনদের ভিত্তিতে সুরাহা হবার পর ফেসবুকে আরেকটি পোস্ট দেয়া হয়। সেখানে ভারতীয় রেল গার্ডের বিবৃতি সংযুক্ত করে বলেন, তিনি (ভারতীয় গার্ড) বিবৃতিতে স্পষ্ট করে বলেছেন, ভারতীয় টিটি তাকে এ যাত্রীকে হস্তান্তর করেছেন।
এদিকে, ঘটনাটি নিয়ে যশোর সিভিল সার্জন, কাস্টম কমিশনারের স্ট্যাটাস নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করা এবং নানামুখী প্রচারণায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। আসলে যশোর সিভিল সার্জনের শক্তিশালী টিম নেই ভারত প্রত্যাগত যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিরীক্ষায়। কাস্টমস কর্মকর্তাদের সন্দেহ সৃষ্টিরই কথা কারণ ভারতীয় গার্ড বিবৃতিতে স্পষ্ট করে বলেছেন, ভারতীয় টিটি তাকে করোনা সন্দেহের যাত্রীকে হস্তান্তর করেছেন। মূলত বিভ্রান্তি ওখান থেকেই সৃষ্টি!

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন