বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী-মাইজদী সড়কে দূর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে কেফায়েত উল্যা হাসান (১৭) নামের এক কিশোর নিহত হয়েছে। ঘটনায় তার ৭জন বন্ধুকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার সকালে নিহতের লাশ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে ওই হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এরআগে রবিবার রাত ৯টার দিকে ওই হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। নিহত কেফায়েত উল্যা হাসান কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বাতাবাড়ী এলাকার হেদায়েত উল্যার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাত ৮টার দিকে পিঠে ছুরিকাহত হাসান চিৎকার করতে করতে দৌঁড়ে বেগমগঞ্জ কৃষি প্রশিক্ষণ ইনিস্টিউটের ভিতরে ঢুকে পড়ে। পরে ওই প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর হাসানকে বেডে উঠালে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
বেগমগঞ্জ থানার ওসি হারুন উর রশিদ চৌধুরী জানান, ধারণা করা হচ্ছে চৌমুহনী-মাইজদী সড়কের বেগমগঞ্জ কৃষি প্রশিক্ষণ ইনিস্টিউট এবং নোয়াখালী পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের মাঝামাঝি কোন স্থানে দূর্বৃত্তরা হাসানের পিঠের বাম অংশে ছুরি মেরেছিল। নিহত হাসানের ৭বন্ধুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, হাসান সোনাইমুড়ী এলাকায় বাসা ভাড়া থাকতো। তার এক বোনের বাড়ী চৌমুহনী পৌরসভার করিমপুরে। প্রায় সময় সে বোনের বাড়ীতে আসত। এখানে কয়েকজন যুবকের সাথে তার বন্ধুত্ব হয়। এদের সাথে ঘুরাঘুরি ও মোবাইলে টিকটক তৈরি করতো হাসান। জিজ্ঞাসাবাদে তার বন্ধুরা জানায়, ঘটনার দিন রবিবার বিকেল থেকে মাগরিবের নামাজের পর হাসান তাদের সাথে আড্ডা দিয়েছে। পরে সে সোনাইমুড়ী চলে যাবে বলে তাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়েছে বলে তাদের ভাষ্য। আটককৃতদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ঘটনায় তার বোন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানার পুলিশের এ কর্মকর্তা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন