অসহায় সুন্দরী নারীদের আর্থিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া যুবলীগ নেত্রী শামীমা নুর পাপিয়া এখন সামাজিক মাধ্যমের ‘হট টপিক্স’। গ্রেফতারের পর র্যাবের সংবাদ সম্মেলনে তার নানান কুকীর্তি তুলে ধরার পরই দ্রুতই তা ভাইরাল হয়ে যায়। এই ঘটনার পর দেশের সর্বোচ্চ শ্রেণির বিভিন্ন নামিদামি ব্যক্তির সাথে তার তোলা ছবি ছড়িয়ে পড়ে নেট দুনিয়ায়। নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড় তোলেন নেটিজেনরা।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে দেশ ত্যাগের সময় অবৈধ অর্থসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে র্যাব। তাদের মধ্যে অন্যতম এই শামীমা নূর পাপিয়া। রাজধানীর অভিজাত এলাকার শুধু একটি হোটেলেই তার তিন মাসে খরচ হয় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
র্যাব জানায়, শামীমা নুর পাপিয়া একজন ব্যবসায়ী। এফডিসি সংলগ্ন কার এক্সচেঞ্জ নামক গাড়ির শোরুম আছে তার। তবে এই ব্যবসার আড়ালে তিনি অবৈধ অস্ত্র, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ নারীঘটিত অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
নরসিংদী এলাকার অসহায় সুন্দরী নারীদের আর্থিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাদের সহযোগিতায় অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে তিনি। বছরের অধিকাংশ সময় তিনি রাজধানীর বিভিন্ন বিলাসবহুল হোটেলে অবস্থান করেন। সেখান থেকেই অনৈতিক কাজে নারী সরবরাহ করেন। এই অবৈধ কাজ থেকে পাওয়া টাকা দিয়ে গড়েছেন একাধিক বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাটসহ বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ।
ফেইসবুকে মো. আলাউদ্দীন আল আজাদ লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশ আওয়ামীলীগে কি পচন ধরেছে? তা হলে কেন বাইজি সর্দাররানীকে নরসিংদী যুব মহিলা লীগের সেক্রেটারি করতে হবে!! কত টাকার লেনদেন হয়েছে এই পোষ্ট পেতে সর্দাররানীর? জরুরী ভিত্তিতে উদঘাটন করা দরকার কে কত টাকা নিয়াছে! তা না হলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধীরে ধীরে যে অবস্হার দিকে ধাবিত হচ্ছে সে ক্ষেত্রে একদিন গ্যাংরিন ধরে পা কেটে পেলতে হবে!! যা কারো জন্য শুভ লক্ষন নয়। আমরাও তো তা চাই না।শুদ্বি অভিযান বাস্তবে প্রয়োগ করার দরকার।’’
শরিফ আহমেদ লিখেছেন, ‘‘বেচারাকে এ অবস্থানে আসতে বহুত মানুষকে মনোরঞ্জন করতে হয়েছে। বহুত নেতাদের খুশি করতে হয়েছে। এখন এখন একটু আনন্দ ফুর্তি করে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা হোটেল বিল দিবে তাও মাইনসের সহ্য হয় না। দেশের মানুষগুলো বড়ই বেরসিক।’’
সিনথিয়া লিখেছেন, ‘‘তিনি মাদক এবং পতিতাদের নেত্রী, গতকাল গ্রেফতারও হয়েছেন। কিন্তু তার সাথে দেশের সর্বোচ্চ সম্মানিত ব্যক্তি এবং এক সময়ের তুখোড় ছাত্রনেতা যাকে আমরা অনেকেই ফলো করি জনাব তোফায়েল আহমেদের সাথে এরকম একজন দাগী অপরাধীর ছবি সত্যিই বেদনাদায়ক।’’
দেলওয়ার হোসাইন লিখেছেন, ‘‘এরা নষ্টা, তসলিমা নাসরিনের চেয়েও খারাপ। এদেরকে এখনি কেসিনোর মত ব্যবস্হা না নিলে দল ও দেশের ক্ষতি হবে। আর এদের নিয়ে বেশী কিছু বলতে চাই না। নষ্টাদের নিয়ে বেশী কিছু বলা রুচিতে বাধে।’’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন