স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশীও ট্রিটমেন্ট প্রটৌকল ও কিটস এর পাশাপাশি চায়না সরকার থেকে এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রদানকৃত ট্রিটমেন্ট প্রটৌকল ও অতিরিক্ত ৫০০ কিট্স সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চায়না অ্যাম্বাসির করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ট্রিটমেন্ট প্রটৌকল গাইড বই ও করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য ৫০০ কিটস হস্তান্তর অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নিজ দেশের সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া আছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, করোনাভাইরাসটি প্রতিরোধে দেশের স্বাস্থ্যখাত সব দিক দিয়ে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। ২১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৩ লাখেরও বেশি বিদেশ ফেরত মানুষকে স্কীনিং করা হয়েছে ৭৯ জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে পরীক্ষা করা হয়েছে। দেশে এখন পর্যন্ত একজনও করোনা ভাইরাস রোগে সংক্রমিত হয়নি। ভবিষ্যতে করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোন রোগী দেশে প্রবেশ করলে বা একাধিক রোগী আক্রান্ত হলে তার জন্য কুয়েত মৈত্রি হাসপাতালকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আর চিকিৎসার জন্য দেশীও ২ হাজার কিটস থাকার পাশাপাশি চীন আরো ৫০০ কিট্স প্রদান করায় দেশে করোনাভাইরাস চিকিৎসায় কিট্সের আর কোন সমস্যাই থাকছে না। এই ভাইরাসটির চিকিৎসা করতে দেশের ট্রিটমেন্ট প্রটৌকল এর পাশাপাশি চীনের ট্রিটমেন্ট প্রটৌকল হাতে আসায় করোনাভাইরাস চিকিৎসায় আর ভয়ের কিছু থাকবে না।
অনুষ্ঠানে চীনের পক্ষে রাষ্ট্রদূত লি জিমিং ৫০০ করোনা কিটস ও ট্রিটমেন্ট প্রটৌকল স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক-এর কাছে হস্তান্তর করেন। কিট্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমি, রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর পরিচালক প্রফেসর ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরাসহ উভয় দেশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন