হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত নির্মিত হচ্ছে ঢাকা-এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) এ প্রকল্পটিতে বিনিয়োগ করে থাইল্যান্ডভিত্তিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড, যেটি ইতালথাই নামেও পরিচিত। এ প্রকল্পে শুরু থেকেই অর্থসংকটে ভুগছিল প্রতিষ্ঠানটি। বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ধরনা দিয়েও জোগাড় করতে ব্যর্থ হয় এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের প্রয়োজনীয় অর্থ। তাই অর্থসংকট কাটাতে চীনের শ্যাংডং ইন্টারন্যাশনালে ৩৪ শতাংশ ও সিনো-হাইড্রো করপোরেশনের কাছে ১৫ শতাংশ শেয়ার বেচে দিয়েছে তারা। এর মধ্য দিয়ে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অর্ধেক মালিকানা চলে গেল দুই চীনা কোম্পানির হাতে।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে মোট ব্যয় হবে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। পিপিপির ভিত্তিতে এর নির্মাণকাজ পাওয়ার পর প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি কোম্পানিও গঠন করে ইতালথাই। এ কোম্পানির মাধ্যমে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, ২৫ বছর পরিচালনা (সাড়ে তিন বছর নির্মাণকালসহ) এবং টোল আদায় করা হবে। টোল আদায়ের মাধ্যমে বিনিয়োগ করা টাকা তুলে নেবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান।
এক্সপ্রেসওয়ের নির্বাহক প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ইতালথাই ‘ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কোম্পানি লিমিটেড’ নামের যে কোম্পানি গঠন করে, তাতে ইকুইটির পরিমাণ নির্মাণ ব্যয়ের ৩১ শতাংশ। অন্যদিকে ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফান্ড বা ভিজিএফ ২৭ শতাংশ, যা সরকার দিচ্ছে। নির্মাণ ব্যয়ের বাকি ৪২ শতাংশ অর্থ সংগ্রহ নিয়ে সংকটে পড়ে ইতালথাই। অর্থসংকটের প্রভাব সরাসরি এসে পড়ে এক্সপ্রেসওয়েটির নির্মাণকাজে। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, প্রকল্পটির জন্য নেয়া বিদেশী ঋণের অর্থ পরিশোধও চলছে। সর্বশেষ ২০১৯ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কোম্পানি লিমিটেডের পরিশোধিত আন্তঃপ্রতিষ্ঠান ঋণপ্রবাহ ছিল ৪০ লাখ ডলার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন