চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় নগরীর জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ময়দানসহ নগরীর ১৬৪টি স্থানে গত ৭ জুলাই বৃহস্পতিবার ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এবার আবহাওয়া ভাল থাকায় ঈদ জামাতে বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মানুষ উৎসবের আমেজে শামিল হন। মন্ত্রী, সিটি মেয়র, সাবেক মন্ত্রী, সাবেক মেয়র, আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার বিশিষ্টজন জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ময়দানে অনুষ্ঠিত প্রথম ও প্রধান জামাতে শরিক হন। সকাল সাড়ে ৮টায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম ও প্রধান জামাতে ইমামতি করেন জমিয়তুল ফালাহ্ জাতীয় মসজিদের খতিব আল্লামা মুহাম্মদ জালালুদ্দীন আল-কাদেরী। এ ঈদ জামাতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সাবেক মন্ত্রী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, জাতীয় পার্টির নেতা জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এমপি, সাবেক মেয়র নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেনসহ চসিক প্যানেল মেয়র, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার নাগরিকগণ ঈদ জামাতে শরিক হন। একই স্থানে পরপর তিনটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জমিয়তুল ফালাহ ময়দানে ঈদ জামাতসহ চট্টগ্রামের প্রধান ঈদ জামাতসমূহে ছিল এবার কঠোর নিরাপত্তা নজরদারি।
এছাড়া সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় বাকলিয়া স্টেডিয়াম, আরেফিন নগর, লালদিঘীসহ ১৬৪টি স্থানে পৃথক ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ ঈদ জামাতে শরীক হন। তাছাড়া বন্দরনগরী চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ, চন্দনপুরা মসজিদ, এনায়েত বাজার শাহী জামে মসজিদ, বায়তুশ শরফ মসজিদ, চমেক কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, অলিখাঁ মসজিদ, মিসকিন শাহ মসজিদ, আগ্রাবাদ সিডিএ জামে মসজিদ, মেহেদীবাগ সিডিএ জামে মসজিদসহ জনবহুল এলাকায় মাঠে-ময়দানে ও মসজিদসমূহে উপচেপড়া ভিড়ের মধ্যে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি ঈদ জামাত শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ, মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন