ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ)উপজেলা সংবাদদাতা : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ নিয়ে কলহে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গত বুধবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে আনোয়ার হোসেন (২৭) নামে যুবককে কুপিয়ে হত্যার করা হয়। ওই ঘটনায় রাতেই থানা পুলিশ ৪ জনকে আটক করে।
এলাকাবাসী ও পরিবার সুত্রে জানা যায়, উপজেলার সোহাগী ইউনিয়নের জিগাতলা-সোহাগী পাড়া গ্রামে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে দালাল সাইফুল ইসলামের সাথে কথাকাটাকাটি হয় ওই গ্রামের গণি মিয়ার পরিবারের লোকজনের। পরে দালাল সাইফুল যুবলীগ নেতা ও ইউপি সদস্য আ. ছালামকে বিষয়টি অবহিত করলে আ. ছালাম তার লোকজন নিয়ে সোহাগীপাড়া গণি মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন (২৭) এর উপর হামলা করে। এতে সে গুরুতর আহত হলে তাকে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এলাকার জুলেয় মিয়া জানান, পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাকবিত-ার এক পর্যায়ে নব-নির্বাচিত ইউপি সদস্য আ. ছালাম ও বিদ্যুতের দালাল সাইফুলের নেতৃত্বে প্রায় ৩০ জন লোক দেশিয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। ওই সময় সোহাগীপাড়া মসজিদের কাছে বসে থাকা আনোয়ার হোসেন কে কুপিয়ে গুরুতর ভাবে জখম করা হয়। ওই হামলায় আরো ১১ জনকে কুপিয়ে আহত করা হয়। তাদের প্রথমে ঈশ্বরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গভীর রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে হত্যাকা-ের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে রফিকুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম. খলিলুর রহমান ও নজরুল ইসলামকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। হত্যাকা-ের ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে নিহত আনোয়ারের ভাই রফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। গত শুক্রবার বিকেলে ্ওই যুবলীগ নেতা ইউপি সদস্য আ. ছালাম ও তার সহযোগীদের ফাঁসির দাবিতে লাঠি নিয়ে সোহাগী বাজার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে স্থানীয় লোকজন। পরে সোহাগী ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমানের আশ্বাসে বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি বদরুল আলম খান বলেন, আনোয়ারকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। চারজনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন