মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

তালেবান-আমেরিকার শান্তি চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৭:০৮ পিএম

আগামীকাল শনিবার কাতারের রাজধানী দোহায় যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানদের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তি সাক্ষর করার কথা রয়েছে। এই চুক্তি সাক্ষর হলে কাবুল ও তালেবানদের মধ্যে আলোচনার মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে শান্তি ফিলে আসবে এবং ধীরে ধীরে সেনা প্রত্যাহারের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র তাদের ইতিহাসের দীর্ঘতম যুদ্ধ বেরিয়ে আসতে পারবে।

আশা করা হচ্ছে, এ চুক্তি সই হলে আফগানিস্তানে গত ৪০ বছর ধরে যে যুদ্ধ ও সহিংসতা চলে আসছে তার অবসান ঘটবে। কিন্তু আফগান সরকারের সঙ্গে তালেবানের যে আলোচনার কথা বলা হচ্ছে সেখানেই রয়েছে সবচেয়ে বেশি অনিশ্চয়তা এবং আশঙ্কা করা হচ্ছে আফগানিস্তান নতুন করে সংকটের মধ্যে পড়তে যাচ্ছে।

এই চুক্তিটি সম্ভবত আফগানিস্তানের জন্য আশাবাদী নতুন যুগের সূচনা হিসাবে চিহ্নিত করা হবে, যেখানে ৪০ বছরের সংঘাত চলছে। তবে এরপরে আসলেই কি ঘটবে তা অনুমান করা কঠিন। তালেবানদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রশ্ন রয়েছে এবং আরও একবার রাজনৈতিক সঙ্কটের কবলে পড়ে আফগানিস্তানের আরও পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

এই চুক্তিটির বিষয়ে তালেবান ও আমেরিকার মধ্যে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আলোচনা চলেছে। যদিও এই চুক্তির বিষয়বস্তু প্রকাশ করা হয়নি, তবে পেন্টাগন আফগানিস্তান থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়া শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে, যেখানে বর্তমানে ১২ থেকে ১৪ হাজারের মতো সেনা রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে, চুক্তি হলে আগামী মাসের মদ্যে প্রায় ৮ হাজার ৬০০ সেনা প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। বাকিদের প্রত্যাহারের বিষয়টি নির্ভর করবে প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি সরকারের সাথে তালেবানদের আলোচনার উপরে। আশরাফ ঘানি সরকারকে তালেবানরা এখনও মার্কিন-সমর্থিত পুতুল হিসাবে মনে করে। এছাড়া, বিদ্রোহীদেরও নিশ্চয়তা দেয়ার কথা ছিল যে আফগানিস্তান আর কখনও আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীকে সহায়তা করবে না।

এক বছরের বেশি সময় আলোচনার পর তালেবান এবং আমেরিকার মধ্যে আগামী শনিবার শান্তি চুক্তি সই হবে। কাতার এবং পাকিস্তান এই শান্তি আলোচনার বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা রেখেছে এবং কাতারের রাজধানী দোহায় চুক্তি সই হবে। চুক্তি অনুষ্ঠানে বিশ্বের ৩০টির বেশি দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন তবে আফগান সরকার কোনো প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে না বলে দেশটির একজন সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন। সূত্র: দ্য ডন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন