ব্যস্ততম সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ থাকায় গত কয়েক দিন ধরে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা চলছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার অংশ হিসেবে বুধবার বৈঠক করেছেন প্রতিবেশী দুই দেশের প্রতিনিধিরা।
আফগান রাজধানী কাবুলে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পাকিস্তানের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। এ ছাড়া দেশটির প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি বা আইএসআইয়ের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাদিম আনজুমসহ অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তা।
অন্যদিকে আফগানিস্তানের পক্ষে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন দেশটির ভারপ্রাপ্ত উপপ্রধানমন্ত্রী মোল্লা আবদুল গনি বারাদার। সেই সঙ্গে দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে বারাদারের কার্যালয় বলেছে, দুই দেশের কর্মকর্তারা অর্থনৈতিক সহযোগিতা, আঞ্চলিক সংযোগ, বাণিজ্য ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা উদ্বেগ ব্যবসায়িক কিংবা অর্থনৈতিক বিষয়ে প্রভাব ফেলবে না।
আফগান উপপ্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান প্রতিবেশী দেশ। সে কারণে দুই দেশকে একে অপরের ভালোমন্দ দেখে চলতে হবে। দুই দেশের স্বার্থেই আফগানিস্তান পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কোন্নয়নের ওপর জোর দেয়।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তান প্রতিশ্রুতি পালন করেনি— অভিযোগ এনে চার দিন আগে তোরখাম সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেয় আফগান কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে পাকিস্তান সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করেছে।
সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যেই সোমবার গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে এক পাকিস্তানি প্রহরী আহত হন। গত কয়েক মাসে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।
ইসলামাবাদ অভিযোগ করছে, সন্ত্রাসীরা আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে পাকিস্তানে হামলা করছে। যদিও এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে কাবুল।
আলজাজিরা বলছে, বুধবার পর্যন্ত দুই দেশের সীমান্তের উভয় পাশে হাজার হাজার ট্রাক আটকে থাকতে দেখা গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন