পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তে দুই পক্ষের নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের পর বাণিজ্য ও ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহারের প্রধান একটি ক্রসিং বন্ধ হয়ে গেছে। পাকিস্তানের স্থানীয় এক কর্মকর্তা সোমবার একথা বলেছেন।
আফগানিস্তানের স্পিন বোলদাক জেলা সংলগ্ন চাহমান শহরের উপ-কমিশনার আব্দুল হামিদ জেহরি বলেছেন, একদিন আগে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান উভয় পক্ষের নিরাপত্তা বাহিনী মধ্যে দীর্ঘক্ষণ ধরে তুমুল গোলাগুলির পর সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, উভয় পক্ষেই অনেক রাত পর্যন্ত গোলাগুলি চলছে। এরপরই চাহমান শহরে পাক-আফগান ক্রসিং ও বাণিজ্য বন্ধ হয়েছে।
তালেবান প্রশাসনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, দুই পক্ষের সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। তিনি বলেন, এটি ভুল বোঝাবুঝির কারণে হয়েছে এবং ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখার এক মুখপাত্র বলেছেন, কী ঘটেছে তা নির্ধারণ করতে তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
জেহরি বলেন, আফগান সীমান্ত ক্রসিংয়ের দিক থেকে আসা একজন পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্যকে গুলি করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে ওই সদস্য নিহত এবং অন্যরা আহত হয়। তবে উভয় কক্ষে হতাহতের মোট সংখ্যা তৎক্ষণিকভবে স্পষ্ট হয়নি।
সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ থাকায় দুই পাশে পণ্য নিয়ে শতশত ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রাসহ কর্মকর্তারা।
আফগানিস্তানে তালেবান গতবছর ক্ষমতা দখলের পর নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। জঙ্গিরা পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর হামলা করছে।
পাকিস্তান তালেবানকে বিদেশি জঙ্গিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় না দেওয়ার ব্যাপারে তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার আহ্বান জানাচ্ছে। তবে তালেবান জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার কথা অস্বীকার করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন