মধ্য এশিয়ার দেশ আফগানিস্তানে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত (হেড অব মিশন) উবায়দুর রহমান নিজামনি অল্পের জন্য গুপ্তহত্যা থেকে বেঁচে গেছেন। শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। একটি সূত্রের বরাতে জিও জানিয়েছে, রাষ্ট্রদূত উবায়দুর রাজধানী কাবুলে অবস্থিত দূতাবাসে হাঁটতে বের হয়েছিলেন। ওই সময় তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। -জিও নিউজ
তার সঙ্গে ছিলেন ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী। রাষ্ট্রদূতকে রক্ষা করতে গিয়ে ওই নিরাপত্তারক্ষী নিজের বুক পেতে তিনটি গুলি নেন। তাকে এখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার সাপ্তাহিক বন্ধ থাকায় পাকিস্তান দূতাবাসে কোনো ধরনের কার্যক্রম চলছিল না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। জিও নিউজকে ওই সূত্রটি আরও জানিয়েছে, এ ঘটনার পর আফগানিস্তানে অবস্থানরত পাকিস্তানের সব কূটনীতিককে সাময়িকভাবে দেশে ফেরত আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের ওপর কাপুরুষোচিত হত্যা চেষ্টার তীব্র নিন্দা জানাই আমি। সাহসী নিরাপত্তারক্ষীকে স্যালুট জানাই, যে রাষ্ট্রদূতকে বাঁচাতে বুক পেতে গুলি নিয়েছে। নিরাপত্তারক্ষীর দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। এ জঘন্য ঘটনার তাৎক্ষণিক তদন্ত এবং যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’ এর আগে শুক্রবার আফগানিস্তানের কান্দাহারে অবস্থিত পাকিস্তানের কনস্যুলেট জেনারেল অফিসের অফিসিয়াল টুইটার আইডি হ্যাক হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে হ্যাকারের হাত থেকে অ্যাকাউন্টটি ফিরিয়ে আনতে সমর্থ হন কর্মকর্তারা।
এদিকে সশস্ত্র গোষ্ঠী পাকিস্তান তেহরিক-ই-তালেবানের (টিটিপি) ওপর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অভিযান চালানো ও সীমান্ত নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। এরমধ্যেই দেশটিতে এ ঘটনা ঘটল। গত ২০ নভেম্বর আকস্মিক কাবুল সফরে যান পাকিস্তানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিনা রব্বানী খার। ওই সময় আফগানিস্তানের বর্তমান শাসক তালেবানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল, পাকিস্তান তালেবানকে (টিটিপি) যেন আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে কোনো ধরনের কার্যকম চালাতে না দেওয়া হয়— সেই দাবি নিয়ে কাবুলে গিয়েছিলেন হিনা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন