শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে চালু হবে ১২ মার্চ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ মার্চ, ২০২০, ১:১৪ পিএম

মুন্সিগঞ্জের মাওয়া থেকে শরীয়তপুরের জাজিরা পর্যন্ত মোট ৬.১৫ কিলোমিটারের বহুমুখী পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলেছে দ্রুতগতিতে। আর এ সেতুর দুই অংশে অর্থাৎ ঢাকা থেকে মাওয়া এবং মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৬ লেনের এক্সপ্রেসওয়ে এখন পুরোই দৃশ্যমান। এ এক্সপ্রেসওয়ে আগামী ১২ মার্চ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১২ মার্চ খুলে দেওয়া হবে ঢাকা-মাওয়া ৬ লেনের মহাসড়ক। ঢাকা-মাওয়া এ মহাসড়কের উভয় পাশে ৫ ফুট করে ২টি লেন করা হয়েছে, যেগুলো দিয়ে স্থানীয় যানবাহন চলাচল করতে পারবে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে এক্সপ্রেসওয়ে ৬ লেনে গিয়ে দাঁড়াবে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, মূল পদ্মা সেতুর ৬.১৫ কিলোমিটার বাদ দিয়ে ৬ লেনের এ এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য হবে ৫৫ কিলোমিটার। যার মধ্যে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার এবং মাদারীপুর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার।
রাস্তার উভয় পাশে রেলিং বসানো এবং সৌন্দর্যবর্ধনের কাজও প্রায় শেষ। এক্সপ্রেসওয়ের মাঝখানে বিভিন্ন ধরনের গাছ রোপণ করা হয়েছে। আনুষঙ্গিক যেসব কাজ বাকি আছে, সেগুলো দ্রুত শেষ করে ১২ মার্চ এক্সপ্রেসেওয়ে চালু করার জন্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রকল্প সূত্রে আরো জানা যায়, বাংলাদেশের সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে এ এক্সপ্রেসওয়ের কাজ বাস্তবায়ন করেছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার্স কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড।

৬ হাজার ২৫২ কোটি ২৮ লাখ টাকার এ প্রকল্পের আওতায় মহাসড়কে সেতু রয়েছে ৩১টি (পিসি গার্ডার ২০টি ও আরসিসি ১১টি), বড় সেতু ধলেশ্বরী-১, ধলেশ্বরী-২ এবং আড়িয়াল খাঁ, ৪৫টি কালভার্ট, ৩টি ফ্লাইওভার, গ্রেট সেপারেটর হিসেবে ১৫টি আন্ডারপাস এবং দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ও ভাঙ্গায় ২টি ইন্টারচেঞ্চ।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১৮ নভেম্বর এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হয়। ২০২১ সালে খুলে দেওয়া হবে পদ্মা সেতু। সেতু দিয়ে একই সঙ্গে চলবে বাস ও ট্রেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন