স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে : ঢাকার সাভারে নবনির্বাচিত এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও তার বাহিনীর লোকজনদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জবর-দখল ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী সাভার উপজেলার কাউন্দিয়া ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান খান শান্ত ও তার বাহিনীর লোকজনদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলেছেন। মারধরের অভিযোগে সাভার মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রিও করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ষষ্ঠ ও শেষ ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী কাউন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান খান শান্ত ও তার বাহিনীর লোকজন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। দখলে নিয়েছে বিভিন্ন লোকজনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তাদের অভিযোগ, চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য মুকুল চৌধুরী, রুবেল, আলতাফ, শহীদ, শাহজাহান, আল হাসান, সেন্টু, শাহ আলম, মোক্তার, জুয়েল, জয়সহ আরো কয়েকজন ঈদের আগে এলাকার মাছ ব্যবসায়ী হাসান ও বছিরের মাছের ঘের দখলে নেয়। এছাড়া সম্ভু, কিয়ামুদ্দিন, মজিবুর ও জাহাঙ্গীরের ডিস লাইন ব্যবসা, পাভেলের পানির লাইন ব্যবসা তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছে। এছাড়া এসব নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে ক্ষতি করার কথা বলেও শাসিয়ে দেয় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এদের মধ্যে মুকুল চৌধুরী বর্তমান চেয়ারম্যান শান্তর ভাগিনা। মুকুল চৌধুরীর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী কাশেমের কাছ থেকে এক লাখ টাকা চাঁদা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া চেয়ারম্যানের নির্দেশে গোয়াইলবাড়ী এলাকায় একটি মার্কেট দখলেরও খবর পাওয়া গেছে।
পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল আলম খান অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান ও তাদের ক্যাডার বাহিনীর অত্যাচারে এলাকায় যেতে পারছি না। নির্বাচনে আমার পক্ষে কাজ করায় এলাকার শাহজাহান মিস্ত্রী, ওয়াসিম, আলী হোসেন ও হিন্দু গ্রাম্য এক চিকিৎসককে মারধর করেছে। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় সাধারণ ডায়রিও করা হয়েছে। এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক মেম্বার অভিযোগ করেছেন, ঈদে সরকারিভাবে এক হাজার পিচ যাকাতের কাপড় গরিবদের মাঝে বিলিয়ে দেয়ার জন্য দেয়া হলেও চেয়ারম্যান শান্ত কোনো মেম্বারদের না জানিয়ে নিজেই তার নিকটাত্মীয়দের মাঝে বিলিয়ে দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে কাউন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান খান শান্তর মুঠফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন