মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নার্স মিওয়াইফ বর্ষ ২০২০ ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ মার্চ, ২০২০, ৬:৩১ পিএম

স্বাস্থ্যসেবাখাতে নিয়োজিত বিশ্বের ২ কোটি ২০ লাখ নার্স ও ২০ লাখ মিডওয়াইফের অবদানের স্বীকৃতির অংশ হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৭২ তম অধিবেশনে ২০২০ সালকে ‘আন্তর্জাতিক নার্স ও মিডওয়াইফারি বর্ষ ঘোষণা করেছে। আধুনিক নার্সিং সেবার পথিকৃত ফ্লোরেন্স নাইটেঙ্গেলের ২০০তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে বছরব্যাপী এই কর্মসূচির আলোকে নার্সিং ও মিডওয়াইফারী বর্ষ উদযাপন করা হবে।

বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) রাজধানীর এক হোটেলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় নার্সিং ও মিডওয়াইফারী অধিদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত এক সভায় এই তথ্য জানানো হয়।

সভায় বলা হয় বিশ্ব স্বাস্থ্যখাতের মোট জনবলের ৫০ শতাংশই নার্স ও মিডওয়াইফ অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেন। পাশাপাশি তারা সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মূখ্য ভূমিকা পালন করে আসছেন। ফলে দিবস ঘোষণার কর্মসূচি অনুযায়ী বছরব্যাপী অনুষ্ঠিতব্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নার্স ও মিডওয়াইফদের গুরুত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি প্রদান করা হবে। বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবায় নার্সিং সেবা বৃদ্ধির পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ মানবিক ও সংঘাতপূর্ণ পরিবেশে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে নার্স ও মিডওয়াইফদের অবদান সমুন্নত করা হবে। নার্সিং ও মিডওয়াইফদের মানোন্নয়নের মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন, জেন্ডার সমতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে চেষ্টা করা হবে। যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষসমূহ অর্জনে সহায়ক হবে।

সভায় বক্তারা বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে কাঙ্খিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশসহ বিশ্বে ৯০ লাখ নার্স ও মিডওয়াইফের ঘাটতি রয়েছে। এ কারণে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনে রাজনৈতিক অঙ্গীকার এবং স্থানীয় পর্যায় তহবিল সংগ্রহ এবং স্বাস্থ্যখাতে সরকারের বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধিসহ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি জনশক্তি বৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ করা জরুরি। নার্স ও মিডওয়াইফরা যাতে চাকরির নিশ্চয়তা পায় সে বিষয়টিও বিবেচনায় আনতে হবে।

নার্স ও মিডওয়াইফারি শক্তিশালীকরণ করার অর্থ তারা যেন তাদের সর্বোচ্চ দক্ষতা প্রয়োগ করে কাজ করার সুযোগ পান। এটা সম্ভব হলে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা সহজ হবে এবং বিশ্বে সার্বিক স্বাস্থ্যমান বৃদ্ধি পাবে। ফলে নার্স ও মিডওয়াইফদের মধ্যে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটিয়ে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন সম্ভব এবং সারাবিশ্বে স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানে অগ্রণী ভূমিকা রাখার সুযোগ করে দিতে হবে। এজন্য পেশাগত, আর্থ-সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতাসমূহ দূর করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, বিশেষ অথিতি হিসেবে ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন, মিডওয়াইফারি বিশেষজ্ঞ (ইউএনাফেপিএ) রন্ড্রি অ্যান্ডারসন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি বার্ডন জং রানা, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের পরিচালক (শিক্ষা) মোহাম্মদ আবদুল হাই, বাংলাদেশে মিডওয়াইফারি সোসাইটির সচিব কারিমা আক্তার, বাংলাদেশ নার্সিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইসমত আরা পারভীন ও বাংলাদেশের হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফসহ প্রমুখ।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন