শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

মার্কিন-তালেবান শান্তি চুক্তি ভঙ্গের আশঙ্কা

নতুন করে হামলা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০২০, ১২:০২ এএম

সরকারি বাহিনীর উপর তালিবানের সাম্প্রতিক হামলাগুলো ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা বিমান হামলার ঘটনায় আফগানিস্তানে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। এর ফলে দুই পক্ষের মধ্যে মাত্র ৪ দিন আগে সাক্ষরিত শান্তি চুক্তির বিষয়ে আশঙ্কার সৃস্টি হয়েছে।

গত শনিবার দোহায় চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার পর থেকে তালিবানরা আফগান বাহিনীর বিরুদ্ধে সহিংসতা বাড়িয়ে দেয়। তারা একটি আংশিক যুদ্ধবিরতির অবসান ঘটিয়েছে এবং এর ফলে আগামী ১০ মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া গানি সরকার ও তালিবানদের মধ্যেকার শান্তি আলোচনা অনিশ্চয়তায় পর্যবসিত হয়েছে। আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নসরত রহিমি গত বুধবার জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৫ টি প্রদেশে তালেবানরা ৩০টি হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় ৪ জন বেসামরিক ও ১১ জন আফগান সেনা মারা গেছেন, পাশাপাশি ১ জন তালেবান সদস্যও নিহত হয়েছেন।

এ বিষয়ে এক টুইট বার্তায় শান্তি চুক্তিতে মধ্যস্থতাকারী বিশেষ মার্কিন দূত খলিলজাদ বলেন, আমেরিকা বন্দীদের বিনিময় সহজীকরণে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ ছিল। সেইসাথে, মার্কিন-তালেবান চুক্তি এবং মার্কিন-আফগানিস্তান যৌথ ঘোষণাপত্র বিষয়ে একমত হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আমরা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বন্দী বিনিময়ে উভয় পক্ষকে সমর্থন করব।’ তিনি আরও বলেন, ‘আন্তঃ আফগান আলোচনার দিকে আমাদের অগ্রগতিকে ধীর করে দেয়ার পথে আমাদের সার্বিকভাবে কাজ করতে হবে। আমি আবারও সকল আফগানকে এই উপলক্ষে জেগে ওঠার, দেশকে সবার প্রথমে রাখার এবং এই ঐতিহাসিক সুযোগটি না হারানোর আহŸান জানাচ্ছি।’

খলিলজাদ জানিয়েছেন, তালেবান প্রধানের সাথে তার আলোচনাটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে একটি ’গঠনমূলক ফোন কল’ করার পরে হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আমরা সকলেই একমত হয়েছিলাম যে মার্কিন-তালিবান চুক্তির উদ্দেশ্য আফগানিস্তানের একটি বিস্তৃত শান্তির পথ প্রশস্ত করা।’ পরবর্তী টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান সহিংসতা শান্তি চুক্তির জন্য হুমকি এবং তাৎক্ষণিকভাবে তা হ্রাস করতে হবে। সহিংসতা হ্রাস করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি আমরা বন্দী বিনিময় সম্পর্কেও কথা বলেছিলাম।’ আফগানিস্তানে নতুন তালেবান হামলার বিষয়ে পেন্টাগনের শান্তি চুক্তির পর বুধবার খলিলজাদের এই মন্তব্য আসে।

এ বিষয়ে মার্কিন সামরিক বাহিনীর যুগ্ম চিফ অফ স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি বলেন, ‘গত ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা ধরে বিভিন্ন ধরণের আক্রমণ হয়। এবং তাদের সবাইকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়।’ তিনি সিনেট সশস্ত্র পরিষেবা কমিটিকে বলেন, ‘চুক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আমরা চতুর্থ দিন অতিবাহিত করছিলাম, চেকপয়েন্টেগুলি বাদে, কিছু বিক্ষিপÍ, ছোট, নিম্ন স্তরের আক্রমণ হয়েছে।’ তবে মিলি দাবি করেন, ‘তালিবানরা সব শর্ত পূরণ করা হবে বলে চুক্তিতে সাক্ষর করেছে এবং সর্বশেষ সহিংসতা সত্তে¡ও সেটির ব্যত্যয় ঘটেনি। তিনি বলেন, ‘তাৎপর্যপূর্ণ ৩৪টি প্রাদেশিক রাজধানীগুলিতে কোনও আক্রমণ করা হয়নি। কাবুলেও কোনও আক্রমণ হয়নি।’ সূত্র : ডন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
Monsur Mazumder ৬ মার্চ, ২০২০, ৩:৫৭ এএম says : 0
এসব ইহুদিদের চালাকি।
Total Reply(0)
রাজার নিতির কাহন ৬ মার্চ, ২০২০, ৩:৫৮ এএম says : 0
মোসলমান দের খারাপ অধ্যায় শুরু হয়েছে আফগানিস্তান দিয়ে যা এখন মাঝ পথে, আল্লাহ ভালো জানেন এর শেষ কবে এবং কার হাতে
Total Reply(0)
সুলতান সোলায়মান খান ৬ মার্চ, ২০২০, ৩:৫৮ এএম says : 0
প্রতিটি পরাশক্তিই আফগানিস্তান দখল করতে জেয়ে পরাজিত হয়েছে আমেরিকা কেও একই পরিনতি ভোগ করতে হবে।আফগানিস্তান হলো সম্রজ্যবাদের গোরস্থান।
Total Reply(0)
Masud Ahmed ৬ মার্চ, ২০২০, ৩:৫৯ এএম says : 0
Pentagon doesn’t want peace. Ideally US-Israel require two war zones to sell their arms.
Total Reply(0)
Muhammad Shaikh ৬ মার্চ, ২০২০, ৩:৫৯ এএম says : 0
যুদ্ধই শান্তি - জর্জ অরওয়েল যখন বড় ভাইয়ের এই উদ্ভট শ্লোগানের গুঢ় বানীর ব্যাখ্যা দেন তখন পণ্ডিতেরা ওয়াও হয়ে যান। কিন্তু, কোরআন যখন বলে অপ্রীতিকর হলেও জিহাদে আছে কল্যাণ তখন শয়তানেরা হয়ে যায় মানবতাবাদী।
Total Reply(0)
কামাল রাহী ৬ মার্চ, ২০২০, ৩:৫৯ এএম says : 0
তালিবানরা হচ্ছে পৃথিবীর বুকে একমাত্র সিংহের জাতি যারা নিজেদের ভূখণ্ড কে দখলদারমুক্ত করার জন্য প্রয়োজনে সারা জীবন লড়াই করে যাবে তবুও বাহিরের কোনো অপশক্তির কাছে মাথানত করবেনা মাশাআল্লাহ!
Total Reply(0)
rajib ৬ মার্চ, ২০২০, ৪:০০ এএম says : 0
তালিবানরা আমেরিকার সৃষ্টি এটা কেবল ইতিহাস অন্ধ ব্যাক্তিগনেরই ধারণা। তালিবানরা এই চুক্তি করেছে কারণ তারা চায় বিশ্ববাসী জানুক আফগানিস্তান আগ্রাসনের স্বীকার আর তালিবানরাই আফগানদের প্রকৃত প্রতিনিধি। এই যুদ্ধে কে জিতবে এটা জানতে হলে আপনাকে জানতে হবে আফগান ইতিহাস আর তাদের মুসলিম-আফগান সাংস্কৃতিক আভিজাত্য বোধ। আলেকজান্ডার, চেঙ্গিস খান, তইমুর লেন, মুঘল(হুমায়ুন-আকবর), শিখ(রণজিৎ শিং), মারাঠা, ইংরেজ বা রুশ কেওই আফগানকে পরাধীন রাখতে পারে নাই। আর আমেরিকা তো সামান্য। অচিরেই এই আফগান মুসলিম শক্তি তাদের মাথাব্যথার কারণ হবে বলে ইতিহাসবিদরা মনে করে।
Total Reply(0)
Rakib Hasan ৬ মার্চ, ২০২০, ৪:০১ এএম says : 0
এই মার্কিনরা কোনোদিন মানুষ হবে না, অন্যের ব্যপারে নাক গলানো স্বভাব এদের জীবনেও যাবে না। তবে আপনাদের দিন ফুরায়া আসতেছে রাশিয়ার মতো। যদিও করোনা ভাইরাসে বেসামাল, সামনের পৃথিবীর নেতৃত্ব সম্ভবত চীনের হাতেই আসতে যাচ্ছে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন