ভারতের দিল্লীতে নির্বিচারে মুসলিমদের ওপর বর্বর নির্যাতন,গণহত্যা, কুরআন,মসজিদ-বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও মুজিব বর্ষে নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ঐতিহ্যবাহী ফান্দাউক দরবার শরীফে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করা হয়েছে। ৬ মার্চ শুক্রবার বা'দ জুমা বাংলাদেশ আঞ্জুমানে খাদিমুল ইসলামের আমীর ও ফান্দাউক দরবারের পীর মুফতি সৈয়দ সালেহ আহমাদ মামুন আল-হোসাইনীর নেতৃত্বে ফান্দাউক দরবার শরীফ থেকে বিশাল একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করা হয়। এসময় নাসিরনগর-ফান্দাউক সড়কের সামনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ আঞ্জুমানে খাদিমুল ইসলাম ও বাংলাদেশ আঞ্জুমানে ইসলামী ছাত্রমহল, ফান্দাউক মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক,শিক্ষার্থী,মুরিদান,ভক্তবৃন্দ ও এলাকার সাধারণ মানুষের অংশগ্রহনে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন পালন করা হয়। মানববন্ধন শেষে প্রতিবাদ সমাবেশ বাংলাদেশ আঞ্জুমানে খাদিমুল ইসলামের আমীর পীরজাদা মূফতি সৈয়দ ছালেহ আহমাদ মামুনের সভাপতিত্বে মাওলানা সৈয়দ শামীমের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন,যুব খাদিমুল ইসলামের সভাপতি পীরজাদা আলহাজ্ব মাওলানা মূফতি সৈয়দ মাঈনুদ্দিন আহমেদ,যুব খাদিমুল ইসলামের সহ-সভাপতি মাওলানা সৈয়দ জাকারিয়া আহমাদ, বাংলাদেশ আঞ্জুমানে ইসলামী ছাত্রমহল কেন্দ্রীয় সভাপতি পীরজাদা মাওলানা সৈয়দ আবুবকর সিদ্দিক,সহ-সভাপতি পীরজাদা মাওলানা বাকের মোস্তুফা প্রমূখ। বক্তারা মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আন্ত্রমণ জানানোর চরম সমালোচনা করে বলেন এদেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে লালন করে জন্মশতবার্ষিকী পালন করবে। কিন্তু কুখ্যাত বিশ্ব সন্ত্রাসী খুনি মোদী যেভাবে মুসলমানকে গণহারে হত্যা করছে সেই মোদিকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়া হবে না বলেও ঘোষনা দেন তারা। পরে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন