হার্ভার্ডের গবেষণা বলছে, প্রতিদিন দু’টির বেশি কোমল পানীয় খেলে আগাম মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে ২১ শতাংশ। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, চিনি দিয়ে বা কৃত্রিম মিষ্টি দিয়ে তৈরি পানীয় আগাম মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দিচ্ছে, কারণ এসব খাবারের কারণে হৃদরোগ এবং কয়েক ধরনের ক্যানসারের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। হার্ভার্ভ ইউনিভার্সিটির টি এইচ চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথের পরিচালিত ওই গবেষণাটি পরিচালিত হয়, যেখানে দেখা গেছে যে, চিনি দিয়ে তৈরি হয়েছে এমন পানীয় খাওয়ার কারণে অন্য কোন কারণ ছাড়াই তাদের আগাম মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে গেছে। গবেষণা বলছে, এই জাতীয় পানীয় যত বেশি খাওয়া হবে, মৃত্যুর ঝুঁকিও ততই বেড়ে যাবে। ভারতীয় গবেষক ও লেখক ভাসান্তি মালিক এক বিবৃতিতে বলেছেন,‘ যারা মাসে একবার এরকম চিনি দিয়ে তৈরি পানীয় পান করে, তাদের তুলনায় যারা চার বার পর্যন্ত পান করে তাদের আগাম মৃত্যুর ঝুঁকি ১ শতাংশ বেড়ে গেছে। যারা সপ্তাহে ২ থেকে ছ’বার পান করে তদের বেড়েছে ৬ শতাংশ, আর যারা প্রতিদিন এক থেকে দু’বার পানীয় খায় তাদের বেড়েছে ১৪ শতাংশ। যারা প্রতিদিন দু’বারের বেশি এরকম চিনি দিয়ে তৈরি পানীয় পান করে, তাদের আগাম মৃত্যুর সম্ভাবনা বেড়েছে ২১ শতাংশ।’
ওই গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা চিনি দিয়ে তৈরি পানীয় খেয়েছেন, তাদের আগাম হৃদরোগ এবং কিছু ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এটা বিশেষভাবে উদ্বেগজনক এই কারণে যে, সারা বিশ্বে এখন কোমল পানীয় পানের হার বছরে গড়ে জনপ্রতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯১.৯ লিটারে, যা পাঁচ বছর আগেও ছিল গড়ে ৮৪.১ লিটার।
হার্ভার্ডের গবেষকরা বলছেন, ডায়েট কোমল পানীয় খাওয়া কিছুটা কম ঝুঁকিপূর্ণ, তবে কোমল পানীয়ের বাজারে এর অংশ খুবই কম। এরকম পানীয় পানের হার বছরে জনপ্রতি মাত্র ৩.১ লিটার। দেখা গেছে, বিশ্বে এখন কোমল পানীয় পানের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে চীন। বছরে দেশটির একেকজন নাগরিক এ জাতীয় পানীয় গ্রহণ করে ৪১০.৭ লিটার। এরপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র (৩৫৬.৮ লিটার), স্পেন (২৬৭.৫ লিটার), সৌদি আরব (২৫৮.৪ লিটার), আর্জেণ্টিনা(২৫০.৪ লিটার)। এই পরিসংখ্যান হিসাবে চীনে একজন বাসিন্দার গড়ে কোমল পানীয় পানের হার প্রতিদিন এক লিটারেরও বেশি।
সাংবাদিক-কলামিস্ট
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন