লাল বর্ণের আলসারযুক্ত মাড়ির প্রদাহ সাধারণত ডেসকোয়ামেটিভ জিনজিভাইটিস বা মাড়ি রোগে দেখা দিয়ে থাকে। ডেসকোয়ামেটিভ জিনজিভাইটিস একটি ক্লিনিক্যাল টার্ম, রোগ নির্ণয় বা ডায়াগনোসিস নয়। এ ধরণের মাড়ির প্রদাহ ফ্রি এবং এটাচ্ড অর্থাৎ মুক্ত এবং যুক্ত মাড়ির সাথে সম্পৃক্ত হতে পারে। ডেসকোয়ামেটিভ জিনজিভাইটিস বা লাল বর্ণের আলসারযুক্ত মাড়ির প্রদাহ যে সব কারণে বা রোগে হতে পারে সেগুলো হলো ঃ
* ওরাল লাইকেন প্ল্যানাস * পেমফিগয়েড * ক্রনিক আলসারেটিভ স্টোমাটাইটিস * পেমফিগাস ভালগারিস * ডার্মাটাইটিস হারপেটিফরমিস * সিস্টেমিক লুপাস ইরাইথিমেটোসাস * লিনিয়ার ওমঅ রোগ * ঔষধের বা মাউথ ওয়াশের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
ডেসকোয়ামেটিভ জিনজিভাইটিস বা মাড়ির প্রদাহের কম গুরুত্বপূর্ণ কারণ ঃ ক্রনস্ ডিজিজ * সারকয়ডোসিস * লিউকেমিয়া * স্কোয়ামাস সেল কারসিনোমা।
লাল বর্ণের আলসার বা ক্ষতযুক্ত মাড়ির প্রদাহে দাঁতের স্কেলিং বা দাঁত তোলার প্রয়োজন হলে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে তা করা প্রয়োজন। এ অবস্থা চালাকালীন সময়ে রোগীর ডেঙ্গু জ্বর বা রক্তরোগ থাকলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং সতর্কতার সাথে চিন্তাভাবনা করে চিকিৎসা প্রদান করতে হবে। এ রোগ চলাকালীন সময়ে কোনো ভাবেই এসেনসিয়াল অয়েল মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করা যাবে না। লাল বর্ণের ক্ষতযুক্ত মাড়ির প্রদাহ থাকলে কারণ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে চিকিৎসা প্রদান করতে হবে। সাধারণ মাড়ির প্রদাহের চিকিৎসা প্রয়োগ করলে রোগ নিরাময় হবে না। তাই দাঁতের পাশাপাশি মাড়ির যত্ন নিতে হবে এবং যে কোনো সমস্যায় দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে।
ডাঃ মোঃ ফারুক হোসেন
মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
মোবাইল ঃ ০১৮১৭৫২১৮৯৭
ই-মেইল ঃ dr.faruqu@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন