সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখরের মামলার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন ফটো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল। এ ঘটনার পর রাজধানীর চকবাজার থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছে তারা পরিবার। এছাড়াও তাকে সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন করেছেন পরিবারের সদস্যরা।
পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ১০ মার্চ বাসা থেকে বের হয়ে তিনি আর বাসায় ফিরেননি। নিখোঁজ হওয়ার আগের দিন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমানসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় তিন নম্বর আসামি ছিলেন কাজল। নিখোঁজ কাজল ‘পক্ষকাল’ ম্যাগাজিনের সম্পাদক।
গতকাল বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তার ছেলে মনোরম পলক বলেন, আমার বাবা গত ১০ মার্চ দুপুর তিনটায় বাসা থেকে বের হন। এরপর থেকে তার সাথে আর কোনও যোগাযোগ হয়নি আমাদের। বাবার সাথে তার এক সহকর্মী মুজাহিদদের সর্বশেষ দেখা হয় সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে, হাতিরপুল বাজারে। রাত ১১টা পর্যন্ত অপেক্ষার পরও যখন তিনি বাসায় ফেরেননি, তখন আমরা তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করি। ওই সময় থেকে তার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন নম্বরও বন্ধ পাই।
কাজলের ছেলে আরো বলেন, আমাদের জানা মতে, বাবাকে কেউ কখনও হুমকি দেয়নি। কিন্তু তিনি কী কারণে এখনও নিখোঁজ বুঝতে পারছি না। তিনি আমাদের ছাড়া রাতে কখনও কোথাও থাকেন নি। বাবাকে খুঁজে না পেয়ে ১১ মার্চ বিকালে চকবাজার থানায় আমরা জিডি করেছি বলেও জানান মনোরম পলক।
নিখোঁজ শফিকুল ইসলাম কাজলের স্ত্রী জুলিয়া ফেরদৌসী বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি আমার স্বামীকে যেন সুস্থ অবস্থায় ফেরত দেয়া হয। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে তাকে খুঁজে বের করা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে কোনও বিষয় না।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, এ রাষ্ট্রের কোনও নাগরিকই নিখোঁজ হয়ে যেতে পারে না। কেউ নিখোঁজ হলে রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে, তাকে খুঁজে বের করে সুস্থ শরীরে তার পরিবারের কাছে ফেরত দেয়া।
চকবাজার থানার ওসি মওদুদ হাওলাদার বলেন, আমরা তার নিখোঁজের বিষয়ে সারাদেশে সংবাদ দিয়েছি। তার পরিবারের সাথে কথা বলে তথ্য জানার চেষ্টা করছি। তার বাসা এবং সন্দেহজনক এলকার সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজও সংগ্রহের চেষ্টা করছি৷ এর বাইরে আর কোনো অগ্রগতি নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন