শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

সাতক্ষীরায় দরগাহ শরীফের জমি ওঅর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ১২ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সাতক্ষীরা থেকে স্টাফ রিপোর্টার : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার থানাঘাটা গ্রামের পীর মিয়া সাহেবের দরগাহ শরীফের স্বঘোষিত খাদেমের বিরুদ্ধে দরগাহ শরীফের জমি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে পীর মিয়া সাহেবের দরগাহ শরীফের সাধারণ সম্পাদক শেখ ফারুক হোসেন এই অভিযোগ করেন।
এতে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, লাবসা ইউনিয়নের থানাঘাটা গ্রামে পীর মিয়া সাহেবের দরগাহ শরীফ ও মাদ্রাসা রয়েছে। তারই পাশে শায়িত পীর কুতুবউদ্দীন আরব ও পীর শাহাবুদ্দীন আরব। পীর মিয়া সাহেব মৃত্যুর সময় ২২ বিঘা জমি রেখে যান। এর মধ্যে একটি দীঘি রয়েছে। ওই সম্পত্তি থানাঘাটার পীরত্ব সম্পত্তি নামে পরিচিত। পীর মিয়া সাহেবের মৃত্যুর পর ওই এলাকার মোতাক্কেল হকের ছেলে মৃত কাজী রুহুল কুদ্দুস নিজেকে খাদেম পরিচয় দিয়ে মাজার শরীফ দেখাশোনা করতেন। পরে পীরত্ব সম্পত্তি দখল করার মানসে কাজী রুহুল কুদ্দুস ওই সম্পত্তি নিজের নামে এসএ রেকর্ড করে নেন। সেই থেকে কাজী পরিবার ওই জমি পারিবারিক সম্পত্তি বলে দাবি করে আসছে। এরপর কাজী রুহুল কুদ্দুসের মৃত্যুর পর কাজী আবু ওমর ও কাজী আবুল হোসেন মাজার দেখাশোনা করত। এরই মধ্যে ওই এলাকার সন্তোষ কুমার পীর সাহেবকে ২৯ শতক জমি দান করেন। এর মধ্যে ৪ শতক আবু ওমর থানাঘাটা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আব্দুল গফুরের কাছে ও ৩ শতক এনাতুল্যাহ সরদারের ছেলে সুজাউদ্দিনের কাছে বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করে। এছাড়া কাজী আবুল হোসেন পীরত্ব সম্পত্তি থেকে ৩৩ শতক একই গ্রামের ডা. শেখ আবুল মালেকের কাছে বিক্রি করে সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেন। তাদের মৃত্যুর পর কাজী আবু ওমরের ছেলে কাজী আবু হায়দার এলাকার মুসল্লিদের নিষেধ উপেক্ষা করে মাজার শরীফ দেখাশোনা শুরু করে। খাদেম সেজে কাজী আবু হায়দার পীরত্ব ২২ বিঘা জমি নিজের নামে রেকর্ড করে মসজিদ, মাদ্রাসা ও দরগাহ শরীফের নামে আসা যাবতীয় অনুদান, মুসল্লিদের দানকৃত টাকাসহ প্রতি বছর দীঘির লিজকৃত টাকা আত্মসাৎ করে আসছে। তার এসব কর্মকাÐে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করায় আবু হায়দারের লালিত সন্ত্রাসী হাবিবুর রহমান, কাজী কামাল ও কাজী আবুল কালাম পরস্পর যোগসাজশে মুসল্লিরা যাতে মসজিদে নামাজ আদায় করতে না পারে সেজন্য মাজার শরীফের রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। তারা মাজার সংস্কারেও বাধা সৃষ্টি করে এবং সর্বশেষ রমজান মাসে প্রতিবাদকারীদের ইফতার দেয়া বন্ধ করে দেয়। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে মাজার শরীফের কথিত খাদেম আবু হায়দার এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার ও পীরত্ব সম্পত্তি পুনরায় পীরের নামে রেকর্ডে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন