নাটোরের লালপুরে চোরাই ইজিবাইক সহ অজ্ঞান পার্টির ৫ সদস্যকে আটক করেছে লালপুর থানার পুলিশ। আটককৃতরা হলো- ঈশ্বরদী উপজেলার গোয়ালবাথান গ্রামের মৃত আঃ মজিদের ছেলে শফিকুল ইসলাম, মহাদেবপুর গ্রামের মৃত সাইদুল ইসলামের ছেলে আনছারুল ইসলাম, চারঘাট উপজেলার হলিদাগাছী গ্রামের মৃত হাতেম আলীর ছেলে সুমন আলী, লক্ষীপুরের রায়পুর উপজেলার পশ্চিম চরপাতা গ্রামের ইসমাইল হোসেনের মেয়ে সুমী খাতুন ও পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ঘুটিপাড়া গ্রামের মৃত সোহরাবের ছেলে শামীম আহম্মেদ।
শুক্রবার (১ মার্চ) রাতভর অভিযান চালিয়ে পৃথক পৃথক স্থান থেকে তাদের আটকের পরে আজ শনিবার (১৪ মার্চ) আটককৃত ৫জন কে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
লালপুর থানা সূত্রে জানাগেছে, গত ১০ ফেব্রুয়ারী লালপুর উপজেলার মহেশ্বর মধ্যপাড়া গ্রামের রিয়াজ মন্ডলের ছেলে রতন আলীর ইজিবাইকে পাবনার ঈশ্বরদীর নতুনহাট এলাকা থেকে অপরিচিত তিনজন পুরুষ ও একজন নারী লালপুরের গ্রীনভ্যালি পার্কে আসে। ইজিবাইকটি পার্কের গ্যারেজে রেখে যাত্রীদের সাথে পার্কে ঘুরতে যায় রতন। এসময় তারা রতনকে কোক সহ বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়ায়। খাবার খেয়ে রতন অজ্ঞান হয়ে পড়লে যাত্রীরা তার পকেট থেকে ইজিবাইকটির চাবি ও গ্যারেজের টোকেন বের করে ইজিবাইক নিয়ে চলে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে পার্ক কর্তৃপক্ষ অজ্ঞান অবস্থায় রতনকে উদ্ধার করে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। জ্ঞান ফেরার পর রতন লালপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে গ্রীনভ্যালী পার্কের ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষন করে শুক্রবার রাতে বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া থেকে ঈশ্বরদী উপজেলার গোয়ালবাথান গ্রামের মৃত আঃ মজিদের ছেলে শফিকুল ইসলামকে আটক করে। আটক শফিকুলের তথ্য অনুযায়ী সুমন আলী, আনছারুল ইসলাম, সুমী খাতুনকে আটক করে। আটককৃত ৩ জনের তথ্যমতে চোরাই ইজিবাইক সহ শামীম আহমেদকে আটক করে পুলিশ।
লালপুর থানার ওসি সেলিম রেজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘চোরাই ইজিবাইটি উদ্ধার করা হয়েছে এবং আটককৃতরা সকলেই অজ্ঞান পার্টির সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে শনিবার নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন