শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

টেন্ডার ছাড়াই মালামাল ক্রয়

রাজশাহী রেলস্টেশন

রাজশাহী ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৫ মার্চ, ২০২০, ১২:০০ এএম

রাজশাহী রেলস্টেশনে টেন্ডার বা কোটেশনের আগেই বিপুল অংকের মালামাল কেনার প্রমাণ পেয়েছে দুদক। গত বৃহস্পতিবার দুদকের একটি দল রাজশাহী স্টেশনে পরিদর্শনে গিয়ে এ অনিয়মের তদন্ত করে আসেন। দুদকের রাজশাহী কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রাজশাহী স্টেশনে টেন্ডারের আগেই বিপুল অংকের মালামাল কেনার সংবাদটি গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর তা তদন্তে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি চাওয়া হয়। সেই অনুমতি পাওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার দুদকের একটি দল রাজশাহী স্টেশনে গিয়ে এর প্রমাণও পেয়েছে। এখন আইন অনুযায়ী পরবর্তি সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

রাজশাহী রেলওয়ে সূত্র মতে, গত বছরের শেষের দিকে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের জন্য বেশকিছু ফার্নিচার, ট্রেনের বগি চিহ্নিত এলইডি লাইট ও অভ্যর্থনার জন্য এলইডি লাইট সরবরাহ করেন আলমগীর হোসেন নামের এক ঠিকাদার। গত বছরের অক্টোবরে সরবরাহ করা এসব মালামাল কিছুদিন পরে স্টেশনে ব্যবহারও শুরু হয়। কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই কিছু নষ্টও হয়ে যায়।

অভিযোগ ওঠে, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের তৎকালিন প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শাহ নেওয়াজের আস্থাভাজন ঠিকাদারকে দিয়ে আগেই মালামালগুলো সরবরাহ করে নেয়া হয়। যাতে করে পরে ইচ্ছামতো বিল উত্তোলন করা যায়। এটি করতে গিয়ে স্টেশনে কিছু ভিআইপি চেয়ার (গদিওয়ালা) অপ্রয়োজনে সরবরাহ করা হয়। চেয়ারগুলোর জায়গা না হওয়ায় স্টেশনের যাত্রীদের অপেক্ষারত কক্ষের বাইরেও রাখা হয়। অথচ বছর খানেক আগেও এই স্টেশনেই চেয়ার সরবরাহের নামে প্রায় কোটি টাকা লোপাট করা হয়।

১৭-১৮ হাজার টাকার স্টিলের চেয়ার সরবরাহের নামে অপচয় করা হয় ৪০-৪৫ হাজার টাকা করে। আবার ২০-২৫ হাজার টাকার সোফা সেট সরবরাহ করে বিল উত্তোলন করা হয় ৮০-৮৫ হাজার টাকা করে। এরপর আবারো গত বছরের অক্টোবরে এলটিএম বা টেন্ডার না করেই রাজশাহী স্টেশনের কয়েক লাখ টাকার মালামাল সরবরাহ করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার ফন্দি করেন তৎকালিন প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শাহ নেওয়াজ ও তাঁর আস্থাভাজন ঠিকাদার। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার কয়েকদিন পরেই শাহ নেওয়াজকে পূর্বাঞ্চলে বদলি করা হয়। এদিকে টেন্ডার ছাড়াই মালামালগুলো সরবরাহ কারা করেছে সেটি জানেন না বলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান সরঞ্জাম কর্মকর্তা বেলাল উদ্দিন শেখ দাবি করে বলেন, এ ধরনের কোনো নির্দেশনা আমার দফতর থেকে যায়নি। যারা এ নির্দেশনা দিয়েছেন তারা বিল দিবেন। আমার দফতর এ কাজের কোনো বিল পরিশোধ করবে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন