সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আরও দুইজন করোনা আক্রান্ত

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ মার্চ, ২০২০, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশে আরও দুইজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তাদের একজন ইতালিফেরত, আরেকজন জার্মানিফেরত। তাদের আমরা এনেছি, হাসপাতালে রেখেছি। এর আগে বাংলাদেশে তিনজন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কথা জানানো হয়। তারা বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন। এদিকে, ইতালিফেরত যাত্রীদের মধ্যে যারা হোম কোয়ারেন্টাইনে যেতে ইচ্ছুক তাদেরকে গতরাতেই ছেড়ে দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, যেহেতু তাদের কারো শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি সেহেতু তাদের মধ্যে স্বেচ্ছায় যারা হোম কোয়ারেন্টাইনে যেতে চাচ্ছেন তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছেই। শনিবার পর্যন্ত পাঁচ হাজার ৪৩৬ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। বিশ্বব্যাপী এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৪৫ হাজার ৬৪৮। অপরদিকে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭২ হাজার ৫৩২ জন।বিশ্বব্যাপি করোনাভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করেছে। গত ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে প্রথম শনাক্ত হওয়া রোগীর পর থেকে এ পর্যন্ত ১৪৯টি দেশে ১ লাখ ৪৯ হাজার জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ৫ হাজার ৫৫৫ জন ইতোমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছে। এর আগে বাংলাদেশে তিন জন রোগী সনাক্ত হলেও তারা এখন সুস্থ বলে জানিয়েছিল রোগতত্ত¡, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ২ জন সুস্থ হয়েছেন। তাদের ১ জন ইতিমধ্যে বাড়ী ফিরে গেছেন। আর এক জন সুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে অবস্থান করছেন। কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত তৃতীয় ব্যক্তির স্বাস্থ্য পরীক্ষার শেষ ফলাফল ভালো এসেছে। তারপরও সম্পূর্ণ নিশ্চিত হতে ২৪ ঘণ্টা পরে আমরা আরও একটি পরীক্ষা করবো। সেই ফলাফল ভালো এলে বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত আর কোনো রোগী থাকবে না। এ তিন জনের সংস্পর্শে আশা ব্যক্তিরা কোয়ারেন্টিনে ভাল আছেন। একই সঙ্গে ইতালি ফেরত ১৪২ বাংলাদেশির শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে। আইইডিসিআর আনুষাঙ্গিক অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করছে। এর ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডা. ফ্লোরা জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ইতালি ফেরত কারো দেহে এ ভাইরাস ধরা না পড়লেও তাদের দুই সপ্তাহ বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। গত ২৪ ঘণ্টায় আইইডিসিআর ২৪ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছে। অন্তত নয় জনকে আইসোলেশনে ও চার জনকে হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে উল্লেখ করেন প্রফেসর মীরজাদী ফ্লোরা। এদিকে নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে বিপর্যস্ত ইতালি থেকে যে শতাধিক বাংলাদেশি গতকাল শনিবার দেশে ফিরেছেন, তারা রোগাক্রান্ত নন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তবে দেশে ঝুঁকি এড়াতে তাদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রেখে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশে এর আগে ইতালিফেরতসহ যে তিনজনের দেহে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছিল, তারাও সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ সময় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দেশগুলো থেকে আসা যাত্রীরা কোয়ারেন্টাইনে না গেলে জেল-জরিমানার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আক্রান্ত দেশগুলো থেকে কোনো যাত্রী দেশে এলেই তাদেরও বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। এছাড়া কেউ যদি এ নির্দেশ অমান্য করে, তাহলে জেল-জরিমানা করা হবে বলে জানান তিনি।
গতকাল সকালে এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে নামেন ইতালির রোমে থেকে আসা ১৪২ বাংলাদেশি। বিমানবন্দর থেকেই তাদের বিশেষ ব্যবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় আশকোনার হজ ক্যাম্পে। সেখানে তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখার নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর আইইডিসিআরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রাথমিক পরীক্ষায় ইতালি ফেরত এই ব্যক্তিদের মধ্যে কভিড-১৯ রোগের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। এদিকে আশকোনা হজ ক্যাম্পের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো ইতালি ফেরত বাংলাদেশির মধ্যে কয়েকজন বিক্ষোভ করছেন। তাদের দাবি ‘কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা’র কারণে তারা বিক্ষোভ করছেন। পুলিশ ও আনসারের উপস্থিতিতেই অন্তত ৩০ জন বিক্ষোভ শুরু করেন। তাদের দাবি ছিল গতকাল দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত সেখানে কোনো চিকিৎসক বা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা পৌঁছেননি। এমনকি তাদের কোনো খাবারও সরবরাহ করা হয়নি। তারা বলছেন, তাদের জ্বর বা কাশির মতো কোনো লক্ষণ নেই। অনেকের আত্মীয় স্বজন খাবার নিয়ে ভেতরে চলে যাচ্ছেন, অথচ এটা দেখার কেউ নেই বলেও তারা অভিযোগ করছেন। এদিকে গতকাল রাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের অনুরোধে আশকোনা হজ ক্যাম্পে ইতালি ফেরত যাত্রীদের প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এসে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, যারা আসছে, সকলেই সুস্থ আছেন। কেউ অসুস্থ নাই। সেভাবে আমরা পাইনি। তাদের হজক্যাম্পে নিয়ে রেখেছি। সেখানে রেখে তাদের পরীক্ষা করব। তারা সংক্রমিত কি না, দেখব। আমরা জেনেছি তারা অনেকে সার্টিফেকট নিয়ে এসেছে। তারা সেখানেও কোয়ারেন্টিনে ছিল। যদি দেখি সবাই সুস্থ সেক্ষেত্রে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখব।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ইতালিতে যেহেতু বেশি ছড়িয়েছে, তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সেখান থেকে যারাই আসবে তারা কোয়ারেন্টিনে থাকবে। প্রথমে তারা বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকবে, পরে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকবে। ইতালি থেকে আরও বাংলাদেশি আসছে বলে দেশে সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
যেহেতু অনেক লোক ইতালি থেকে এসেছে, তাদের মধ্যে অনেকে দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় ছিল, তাই তাদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রেখেছি। একেবারে ছেড়ে দেব না। আমরা বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছি। নিজ নিজ বাড়িতে সরকারি তত্ত¡বাবধানে তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে। ইতালি থেকে এসে যারা নিজ নিজ এলাকায় ফিরে গেছেন, তাদের উপর নজর রাখা হচ্ছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জেলা-উপজেলার কমিটিগুলো খুব তৎপর। বিদেশ থেকে যারা আসছে তাদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। কেউ গোপন করলে তথ্য গোপনের যে আইন, তা প্রয়োগ হবে। সেখানে জেল-জরিমানার কথা বলা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা নজর রাখছেন স্থানীয়ভাবে। জনগণও বিদেশ থেকে কেউ আসলে আমাদের জানাচ্ছে। সেখানে ডাক্তার ও পুলিশ যাচ্ছে, যাতে তারা বের না হন সে বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের দেশের লোক বাইরে অনেক। সবাই আসতে শুরু করলে আমাদের জন্য নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টকর হবে। বিদেশ থেকে আসা সবাইকে ঢাকায় রাখার সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে প্রশাসনের তৎপরতায় কোনো ঘাটতি নেই দাবি করে তিনি বলেন, কোন জেলায় কতজন কোয়ারেন্টিন হচ্ছে, কীভাবে তারা আছে, প্রতিটি নিউজ আমাদের কাছে আছে। নভেল করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারী রূপ ধারণ করায় বাংলাদেশ ঝুঁকিমুক্ত না হলেও সরকার সংক্রমণ ঠেকাতে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছে বলে দাবি করেন জাহিদ মালেককরোনাভাইরাস যেখানে আছে, সেখানে তো একটু ঝুঁকি থাকেই। তবে গত দুই মাসে প্রতিরোধে আমরা যে ব্যবস্থা নিয়েছি সে ব্যবস্থা কোনো দেশই নেয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমাদের দেশে যে করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গিয়েছিল তাদের মধ্যে ২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস নেই। তৃতীয় জনের রিপোর্টও নেগেটিভ পাওয়া গেছে। আমরা আস্তে আস্তে তাদের ছেড়ে দেব। একই সঙ্গে এ তিন জনের সংস্পর্শে আশা ব্যক্তিরাও কোয়ারেন্টিনে ভাল আছেন। স্বাস্থ্য সচিব মোহাম্মদ আসাদুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সারাদেশে ডিসি-ইউএনওদের নিয়ে কমিটি করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ রাখছি। স্থানীয়ভাবে কমিটি খুব অ্যাকটিভ। যারা এসেছে, তাদের চেকআপ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ বলেন, ১৪২ জন সেখানে এসেছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জেনেছি কোথা থেকে এসেছে। অনেকে হেলথ সার্টিফিকেট নিয়ে এসেছে। আজ (শনিবার) বিকালে আরও ৩৪ জন আসবে। আজ রোববার ১৫৫ জন আসার কথা শুনেছি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বিদেশ থেকে আসা সবাইকে কোয়ারেন্টিনে রাখার কথা বলা হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কথায় স্পষ্ট, এক্ষেত্রে হোম কোয়ারেন্টিনের কথাই বলা হচ্ছে। অর্থাৎ বিদেশ থাকা আসা ব্যক্তিরা তাদের বাড়িতে থাকবেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন, ঘর থেকে বের হবেন না। আর প্রশাসন তাদের উপর নজর রাখবে।
এছাড়া গতকাল শিশু হাসপাতালে হাম- রুবেলার টিকা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। সঠিক সময়েই ব্যবস্থা নেয়া হবে। মন্ত্রী জানান, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে শপিং মল ও শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধের ব্যাপারে আগামীকাল বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ইতালি থেকে ফেরাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলেও জানান জাহিদ মালেক। হোম কোয়ারেইন্টাইন উপেক্ষা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া বলেও জানান তিনি।
দেশে ফিরেছেন দিল্লিতে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ২৩ বাংলাদেশি
১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে স্বাস্থ্য ছাড়পত্র নিয়ে দেশে ফিরেছেন ২৩ বাংলাদেশি। বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সহায়তায় ইন্ডিগো এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তারা দেশে ফিরেন।
গতকাল শনিবার বিকাল ৩টার দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে ফ্লাইটটি। এয়ারলাইনসের অনলাইন ফ্লাইট ইনফরমেশন আপডেট এ তথ্য নিশ্চিত করে।
এর আগে বেলা ১১টা ৫৮ মিনিটে (নয়াদিল্লির স্থানীয় সময়) ফ্লাইটটি ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান ও ডেপুটি হাইকমিশনার এটিএম রকিবুল হক তাদের বিদায় জানান।
হাইকমিশনার ইমরান বলেন, বাংলাদেশিরা ক্যাম্পে কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালে ওই ক্যাম্প কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাংলাদেশ দূতাবাস সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেছিল। বৃহস্পতিবার বেশিরভাগ শিক্ষার্থী এবং এক শিশুসহ একটি পরিবারের ওই বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে এবং এর মধ্যে কেউই করোনাভাইরাস আক্রান্ত হননি।
প্রবাসী বাংলাদেশীদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি
সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইটালি ও সউদী আরবে প্রবাসী বাংলাদেশী কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন। সিঙ্গাপুরে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশী রোগীর অবস্থার উন্নতি হয় নি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর।
হটলাইনের সংখ্যা বেড়ে এখন ১৭টি
কোভিড-১৯ সংক্রমণ সম্পর্কে জনগণকে প্রয়োজনীয় তথ্য জানাবার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে স্থাপিত হটলাইনের সংখ্যা বাড়িয়ে ১৭টি করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়নের হটলাইন নম্বর ঃ ১৬২৬৩
আইইডিসিআর-এর হটলাইনের নম্বরঃ ০১৫৫০০৬৪৯০১-৫, ০১৪০১১৮৪৫৫১, ০১৪০১১৮৪৫৫৪, ০১৪০১১৮৪৫৫৫, ০১৪০১১৮৪৫৫৬, ০১৪০১১৮৪৫৫৯, ০১৪০১১৮৪৫৬০, ০১৪০১১৮৪৫৬৩, ০১৪০১১৮৪৫৬৮, ০১৯২৭৭১১৭৮৪, ০১৯২৭৭১১৭৮৫, ০১৯৩৭০০০০১১, ০১৯৩৭১১০০১১।
এদিকে আইইডিসিআর দেশের আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, সমুদ্র বন্দর, স্থল বন্দরে বিদেশ থেকে আগত সকল যাত্রীর তাপমাত্রা পরীক্ষা করছে।##

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন