শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ভারত থেকে যাত্রী প্রবেশ বন্ধ থাকবে

প্রবাসীরা দেশে এলে নবাবজাদা হয়ে যান : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ মার্চ, ২০২০, ১২:০১ এএম

করোনাভাইরাসের কারণে ভারতে বাংলাদেশের মানুষ যেতে পারছে না অথচ ভারতের নাগরিকরা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ভারত থেকে বাংলাদেশে যাত্রী প্রবেশ বন্ধ থাকবে। গতকাল রোববার থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
গতকাল রাজধানীর ইস্কাটনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিস (বিস) মিলনায়তনে এক সেমিনারে শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী: একটি পর্যালোচনা’ শীর্ষক সেমিনার তিনি বলেন, প্রবাসীরা দেশে এলে নবাবজাদা হয়ে যান। তারা কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার বিষয়ে খুব অসন্তুষ্ট হন। ফাইভ স্টার হোটেল না হলে তারা অপছন্দ করেন।

গত শনিবার ইতালি ফেরত প্রবাসীদের হজ ক্যাম্পে কোয়ারেন্টিনে রাখা হলে তারা বিক্ষোভ করেন। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খুব অস্থিরতা করেছেন। তারা দেশে আসছেন, কোনো কোয়ারেন্টিনে যেতে চান না। সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে যাবেন, এই আগ্রহে আসছেন। আমরা যেখানে রেখেছিলাম, আগেও রেখেছিলাম। তারা সেটা পছন্দ করেননি। বাংলাদেশে ফ্ল্যাট বাথরুম, তারা কমোড বাথরুম ইউজ করেন। সুতরাং তাঁদের অসুবিধা হয়েছে। আমরা সেখানে পর্যটন থেকে খাবার দিয়েছি। তারা মনে করেন সোনারগাঁও, ফাইভ স্টার থেকে খাওয়ার দেয়া উচিত। সেটা দিতে পারিনি। সে জন্য তারা অসন্তুষ্ট হয়েছেন। তাঁদের বিভিন্ন রকম অভিযোগ ছিল। তারা মনে করেন এগুলো খুব নোংরা।

এ কে মোমেন বলেন, যেসব দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেশি, সেসব দেশ থেকে বাংলাদেশে ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। রোববার থেকে কার্যকর হবে। সরকারের মূল উদ্দেশ্য জনগণকে রক্ষা করা। কয়েকজনের কারণে সাড়ে ১৬ কোটি মানুষ অসুস্থ হোক সরকার তা চায় না। কারণ বিভিন্ন ধরনের দুর্বলতা আছে। সরকার আগে আবেদন করেছিল যাতে যাঁরা প্রবাসে আছেন, তারা আরও কিছুদিন সেখানে থাকেন। কিন্তু তারা সেটা শুনেননি। সে জন্য বাধ্য হয়ে ফ্লাইট বন্ধ করা হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইউরোপকে যেহেতু এপিসেন্টার ঘোষণা করা হয়েছে। সে জন্য যুক্তরাজ্য ছাড়া অন্য দেশগুলো এবং যেসব দেশে প্রকোপ বেশি, যেমন: চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান এসব দেশ থেকে কেউ এখন আসুক তা সরকার চায় না। কেউ যদি ২৮ দিনের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো দেশ ভ্রমণ না করে থাকেন, তাহলে তিনি যুক্তরাজ্য থেকে আসতে পারবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি নাগরিককে ভারত তাদের দেশে যেতে দিচ্ছে না। বাংলাদেশও এখন থেকে ভারতের নাগরিকদের এ দেশে আসতে দেবে না। তিনি আরো বলেন, স্কুল, কলেজ হিড়িকের মধ্যে বন্ধ করে দেয়া হলে একটা আতঙ্ক সৃষ্টি হবে। করোনাভাইরাসে যারা আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন। তাঁদের মধ্যে ১ থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় শূন্য। কিন্তু মিডিয়ার কারণে অনেকে মনে করছেন, বাচ্চারা হয়তো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবে। কিন্তু একটাও ছাত্রছাত্রী আক্রান্ত হয়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইংল্যান্ড স্কুল বন্ধ করেনি। শিক্ষার্থীরা স্কুলে থাকলেই বরং ভালো। স্কুলে হাত ধুতে হয়, কীভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা যায়। করোনাভাইরাস প্রতিরোধের উপায় শিখছে। বাড়িতে গেলে তারা ঘুমাবে এবং খারাপ কাজ হবে।
সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম, বিস চেয়ারম্যান এম ফজলুল করিম, বিস মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এমদাদুল বারী প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন