শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

স্বাস্থ্য

পুষ্টিকর ফল আম

প্রকাশের সময় : ১৩ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আম আমাদের দেশের জনপ্রিয় ও অতি পরিচিত ফল। বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ ও আষাঢ় মাস আমের সময়। আমাদের দেশে দু’বার আম পাওয়া যায়। ফাল্গুন মাসে যে আমের মুকুল আসে, জ্যৈষ্ঠ মাসে সে আম পাকে। আবার বৈশাখে যে বোল আসে আষাঢ় মাসে সে আম পাকে। একে আষাঢ়ে আম বলে। সম্প্রতি আশ্বিনে আম উৎপাদিত হচ্ছে উত্তরবঙ্গে। বাংলাদেশে বৈশাখ মাসে কাঁচা আম ও জ্যৈষ্ঠে পাকা আম পাওয়া যায়। কাঁচা ও পাকা আমের উপকারিতা ও অপকারিতা উভয়ই আছে। তবে আমে প্রচুর ক্যারোটিন, ভিটামিন ‘সি’ ও ক্যালোরি রয়েছে। চলুন তাহলে জেনে নিই সুস্বাদু ফল আমের উপকারিতা সম্পর্কে। কার্যকর উপাদান: প্রতি ১০০ গ্রাম আমে আছে জলীয় অংশ ৭৮.৬, ক্যালসিয়াম ১৬ মি:, মোট খনিজ ০.৪, লৌহ ১.৩ মি:, আঁশ ০.৭, ক্যারোটিন (মাইক্রোগ্রাম) ৮৩০০, খাদ্যশক্তি (কিলোক্যালরি) ৯০, ভিটামিন বি-১ ০.১০, আমিষ ১.০, ভিটামিন ০.০৭ মি:, চর্বি ০.৭, ভিটামিন সি ৪১ মি:, শর্করা ২০.০। ঔষধিগুণ কাঁচা আম : আম নানাভাবে খাওয়া যায়। কাঁচা আম দিয়ে আচার, মোরববা, জ্যাম, চাটনি বানানো যায়। কাঁচা আম খেলে খিদে বাড়ে। স্কার্ভি রোগের হাত থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। পেট খারাপ হলে বা পাতলা পায়খানা হলে কাঁচা আম খেলে উপকার হয়। রোদে ঘরে গরম লাগলে কাঁচা আমের ভর্তা বেশ উপকারী। পাকা আমের ঔষুধিগুণ: পাকা আম খেতে সুস্বাদু, উপকারিতাও অনেক। খালি পেটে পাকা আম খেলে কৃমিনাশ করে। পাকা আম খিদে বাড়ায়। শরীরের সামগ্রিক পুষ্টি জোগায় । দুধের সঙ্গে পাকা আম খেলে শরীর লাবণ্য বজায় থাকে, দীর্ঘদিন যৌবন ধরে রাখা যায়। আজকাল গাছপাকা আম সহজে পাওয়া যায় না। তাই বাজারের কেনা আম বেশ কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রেখে তারপর খাওয়া ভালো। আমের পাতাও খুব উপকারী। কচি আমপাতা চিবিয়ে তা দিয়ে দাঁত মাজলে অকালে দাঁত নড়ে না বা পড়ে না। আগুনে পুড়ে গিয়ে ঘা হলে সেখানে আম পাতার পোড়া ছাই মিশিয়ে লাগালে পোড়া ঘা শুকিয়ে যায়। আমপাতার রস একটু গরম করে খেলে আমাশা সেরে যায়। আয়ুর্বেদীয় ও ইউনানী পদ্ধতির চিকিৎসায় পাকা ফল ল্যাকজেটিভ, রোচক ও টনিক বা বলকারকরূপে ব্যবহৃত হয়। আম লিভার বা যকৃভের জন্য উপকারী। রাতকানা ও অন্ধত্ব প্রতিরোধে পাকা আম এমনকি কাঁচা আম মহৌষধ। বেশি আম খেলে বিপদ : পরিমিত মাত্রায় আম খাওয়া উচিত। বেশি আম খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, বদহজম ও জ্বর হতে পারে। টক আম বেশি খেলে পেট খারাপ হতে পারে। আম থেকে সতর্করা : দীর্ঘদিন আমাশা বা অর্শ থাকলে পাকা আম বেশি না খাওয়াই ভাল। তবে রসনা মেটাতে মাঝে মধ্যে এক-আধখানা খাওয়া যেতে পারে। সবশেষে বলব-অর্থ পুষ্টি স্বাস্থ্য চান- দেশি ফল বেশি খান। 

ষ ডা. মাওলানা লোকমান হেকিম
চিকিৎসক-কলামিস্ট

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন