বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

এমপির মিটিংয়ে ভিডিও করায় শিক্ষক নির্যাতন ! সমালোচনার ঝড়

ময়মনসিংহ ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৬ মার্চ, ২০২০, ৯:১৭ পিএম

নেত্রকোনা-৪ আসনের (মদন-মোহনগজ্ঞ-খালিয়াজুড়ি) সংসদ সদস্য রেবেকা মোমেনের মিটিংয়ে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারন করায় শিক্ষক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষককে মারপিট করে থানা পুলিশে সোপর্দ করার ঘটনায় সমালোচনার ঝড় বইছে উপজেলার সর্বত্র। 

নির্যাতিত শিক্ষককের নাম মো: খাইরুল কবীর(৪৫)। তিনি উপজেলার ৫নং সমাজশৈলদহ ইউনিয়নের রাম জীবন নগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মোহনগঞ্জ সদর থানার ওসি আহাদ। তিনি জানান, থানায় আনার পর শিক্ষক খাইরুল কবীরের শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানা হেফাজতে নেয়া হলে ফের বুকে ব্যাথা এবং ঘন ঘন বমি হতে থাকলেও তাকে পুনরায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন। বর্তমানে ওই শিক্ষক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৭নং ওয়ার্ডের ২নং বেডে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ওসি আহাদ আরো জানান, ক্ষতি ও মানহানি করার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যের মিটিংয়ের ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ এনে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল মোমেন ঠাকুর বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে এখনো মামলা হয়নি। ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Abdul Hakim ১৬ মার্চ, ২০২০, ১০:১৯ পিএম says : 0
সংশ্লিষ্ট থানার দায়িত্বপ্রাপ্তকর্মকর্তার প্রতি আমার জিজ্ঞাসা" যদি প্রকৃতই ঐ শিক্ষক কারুর মানহানী অথবা ক্ষতি করার লক্ষ্যে ভিডিও ধারন করে থাকেন তাহলে তাকে অবশ্যই পুলিশে দেয়ার অধিকার তার আছে।কিন্তু তাকে মারধর করার অধিকার কোন কোন আইনে আছে? যারা মারধর করেছে তাদের বিরুদ্ধে কি কোন ব্যবস্থা নিয়েছেন অথবা নিতে পারবেন? আপনারা পারেননা বলেই মাঝে দেখি ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসী এবং হোমড়াচোমরারা পুলিশকেও জুতা পেটা করে। সাধারন জনগনের উপড় এ অন্যায় অবিচারের বিচার এ দুনিয়ায় না হলেও শেষ বিচারের দিন কেউ পার পাবেনা। আপনারা দায়িত্ব পালন করতে না পারলে দায়িত্ব ছেড়ে কামলা দিয়ে হালাল কামাই করে খান।দায়িত্বে অবহেলা করে কামাই খেলে সেটি হারাম হারাম হারাম।
Total Reply(0)
Md Palash ১৬ মার্চ, ২০২০, ১১:২৭ পিএম says : 0
আইন সবার জন্য সমান না
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন