শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বিদেশ ফেরত কোয়ারেন্টাইনে না গেলে ব্যবস্থা : প্রধানমন্ত্রী

মুজিববর্ষে প্রেসিডেন্টের ভাষণ অনুমোদন মন্ত্রিসভায়

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ মার্চ, ২০২০, ১২:০১ এএম

বিশ্বের যে কোনো দেশ থেকে বাংলাদেশে এলে অবশ্যই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টানে থাকতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কেউ যদি এই নির্দেশ অমান্য করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। শিক্ষার্থীদের পারতপক্ষে বাইরে বের না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ, সন্তান যেন একা ঘরের বাইরে বের না হয়। কারও জ্বর, সর্দি, কাশি থাকলে তা নিয়ে যেন বাইরে বের না হয় সে যেন ঘরে থাকে। বিদেশ ফেরতদের শনাক্ত করে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। এজন্য ডিসি, টিএনও, উপজেলা চেয়ারম্যান, সিভিল সার্জন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের মেয়রদের এ বিষয়ে খোঁজ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিদেশ ফেরত কেউ যদি এই নির্দেশ অমান্য করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ, সন্তান যেন একা ঘরের বাইরে বের না হয়। কারও জ্বর, সর্দি, কাশি থাকলে তা নিয়ে যেন বাইরে বের না হয়। সে যেন ঘরে থাকে। তাদের অবশ্যই বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এতে কোনো মাফ নেই। এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২২ মার্চ থেকে জাতীয় সংসদের যে বিশেষ অধিবেশন হবে, এতে প্রেসিডেন্টের দেয়া ভাষণের খসড়া অনুমোদন এবং বাংলাদেশ জাতীয় আর্কাইভ আইন এবং বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটর (নিবন্ধন ও পরিচালনা) আইনের খসড়া এবং অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

তিনি বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে আগামী ২২ মার্চ সংসদের বিশেষ অধিবেশন হবে তাতে প্রেসিডেন্ট ভাষণ দেবেন। ওনার ভাষণটা রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী মন্ত্রিসভার অনুমোদন করে দিতে হয়। সেজন্য এটা নিয়ে আসা হয়েছিল। এখানে বঙ্গবন্ধুর জীবন, রাজনৈতিক দর্শন, কর্ম, পার্লামেন্টিরিয়ান হিসেবে তার ভূমিকা, তাঁর দেশ পরিচালনা ও জনকল্যাণের যে জিনিসগুলো ওনার জীবনে আছে এগুলোই প্রেসিডেন্টের ভাষণে প্রতিফলিত হচ্ছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আরেকটা জিনিস অনুরোধ করি- মসজিদ, মাদরাসা ও পেপারের মাধ্যমে বলে দেবেন- যদি কারো জ্বর এবং সর্দি-কাশি হয় তিনি যেন কোনো পাবলিক প্লেসে না আসেন। মসজিদ বা অফিসেও না। আমরাও অফিসে বলে দিয়েছি জ্বর এবং সর্দি-কাশি থাকলে সে অফিসে আসবে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন