চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা মামলার দুই আসামীর ফাঁসির দÐ কার্যকরের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) রাত ১২ টায় এ দÐ কার্যকর করার কথা। ২০০৪ সালে এক অটোরিকশা চালককে হত্যার দায়ে দুই পেশাদার ছিনতাইকারীর ফাঁসির সাজা দেয় আদালত। ফাঁসির দÐপ্রাপ্তরা হলোঃ মো. সাইফুল ওরফে শহীদ এবং মো. শহীদুল্লাহ ওরফে শহীদ। সাইফুল ওরফে শহীদ মিরসরাই উপজেলার উত্তর হাজীসরাই গ্রামের লেদু মিয়ার বাড়ির কামাল উদ্দিনের ছেলে। শহীদুল্লাহ ওরফে শহীদ একই উপজেলার মধ্যম সোনাপাড়া গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে।
২০০৭ সালে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে স্ত্রী হত্যার দায়ে দÐিত এক আসামির ফাঁসি কার্যকর হয়েছিল। এর দশ বছর পর আরও দুজনের ফাঁসির দÐ কার্যকর করছে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার। রাতে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগীয় উপকারা মহাপরিদর্শক (ডিআইজি-প্রিজন) অসীম কান্ত পাল বলেন, ফাঁসির জন্য মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দিষ্ট সময়ে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। রাত ১২টায় ফাঁসি কার্যকরের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালের এক রাতে মিরসরাই উপজেলা সদর থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করে তিনজন ফটিকছড়ি যায়। ফটিকছড়িতে একটি নির্জন স্থানে চালককে খুন করে ফেলে রেখে তারা অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনাল তিন আসামিকে ফাঁসির দÐ দিয়েছিল। হাইকোর্টে রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে সাজা বহাল থাকে। আপিল বিভাগে একজনের দÐ কমিয়ে যাবজ্জীবন করা হয়। আপিল বিভাগে ফাঁসির দÐ বহাল থাকার পর সাইফুল ওরফে শহীদ এবং শহীদুল্লাহ ওরফে শহীদ প্রেসিডেন্টের কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে ব্যর্থ হন। প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হওয়ার নথি চট্টগ্রাম কারাগারে এসে পৌঁছানোর পর তাদের ফাঁসি কার্যকরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন