নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : বাবুরাইলের ৫ খুন মামলার বাদী শফিকুল ইসলামের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালত। মামলার একমাত্র আসামী ভাগ্নে মাহফুজের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে পৌনে ২টা পর্যন্ত সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ৩১ জুলাই পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এড. ওয়াজেদ আলী জানান, আসামীপক্ষে আইনজীবী হিসেবে সাক্ষী বাদী শফিকুল ইসলামকে জেরা করেন জেলা লিগ্যাল এইড-এর আইনজীবী এড. সুলতানুজ্জামান। যেহেতু এদিন বাদী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন তাই দীর্ঘ সময়ের কারণে শুধুমাত্র একজনেরই সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ৩১ জুলাই পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত। এর আগে চাঞ্চল্যকর ৫ খুনের মামলায় একমাত্র আসামী হিসেবে ভাগ্নে মাহফুজকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দেয় মামলার তদন্তকারী সংস্থা ডিবি। গত ১৪ জুন একমাত্র আসামী ভাগ্নে মাহফুজের উপস্থিতিতে জেলা ও দায়রা জজ আদালত সৈয়দ এনায়েত হোসেন মামলার চার্জ গঠনের নির্দেশ দেন। তার আগে গত ২৫ মে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে মামলাটি গ্রহণ করে সেশন নম্বর দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, ১৬ জানুয়ারী নারায়ণগঞ্জ শহরের বাবুরাইল এলাকার আশেক আলী ভিলার নীচ তলায় গৃহকর্তা শফিকের বাসায় অবস্থান করে নির্বিঘেœ গৃহকর্ত্রী তাসলিমা (৩৫), তার শিশু সন্তান শান্ত (১০), সুমাইয়া (৭), ভাই মোরশেদুল (২২) ও জাঁ লামিয়া বেগম (২০) কে শ্বাসরোধ ও শিল পোঁতা দিয়ে পিটিয়ে একাই হত্যা করে বাসায় নতুন তালা দিয়ে পালিয়ে যায় শফিকুলের ভাগ্নে মাহফুজ। এরপর ১৭ জানুয়ারী নিহত তাসলিমার স্বামী মো: শফিকুল ইসলাম শফিক বাদী হয়ে জনৈক নাজমা বেগম ও তার স্বামী শাহজাহান এবং ভাগ্নে মাহফুজকে সন্দেহভাজনসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন উল্লেখ করে সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, নিহত তাসলিমার কাছ থেকে মামলাভুক্ত নাজমা ও তার স্বামী শাহজাহান প্রায় ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা ঋণ হিসেবে পাওনা ছিল।
এছাড়াও বাদী শফিকের ভাগ্নে এজাহারভুক্ত আসামী মাহফুজ, এর আগে লামিয়াকে কু-প্রস্তাব দেয়। সেই প্রস্তাবে রাজি না হলে মাহফুজ বিভিন্ন ভাবে তাদের হুমকি দিয়ে আসছিলো বলে উল্লেখ করা হয়। পরে পুলিশ ভাগ্নে মাহফুজকে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। সে পুলিশকে জানায়, মামী লামিয়ার প্রতি যৌন লালসা মেটাতে ব্যর্থ হয়ে সে একাই শিল পোঁতা দিয়ে আঘাত করে একে একে পাঁচজনকে হত্যা করে। এরপর ভাগ্নে মাহফুজ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন