নেছারাবাদে করোনা থেকে মুক্তি পেতে দেশের বিভিন্ন প্রসিদ্ধ পীরের বরাতের নামে গুজব ছড়িয়ে থানকুনি পাতা খাওয়ার হিড়িক পড়েছে। যখন বিশ্বের বড় বড় রাষ্ট্রের পর মরনগাতি করোনা আতঙ্কে দেশের মানুষ। ঠিক তখনি ১৮ মার্চ(বুধবার) দিবাগত রাতে করোনা মুক্তির জন্য থানকুনি পাতা খাওয়ার গুজবে রাতের গুম হারাম করে সাধারণ শ্রেণিপেশার মানুষ পাতা টোকানোর প্রতিযোগীতা নেমে বসেছিল। তবে এমন গুজবকে পাত্তা দেয়নি শিক্ষিত সচেতনজনেরা। তারা বলছেন, যেখানে মরনঘাতি করোনা রোধের জন্য বিশ্বের বড় বড় গবেষকরা দিনের পর দিন নির্ঘুম রাত জেগে কাজ করছেন। সেখানে এরকম একটি অলৌকিক বিষয় গুজব ছাড়া আর কিছুই না। এদিকে একটি নির্দিষ্ট দিনে মাত্র দুইটি থানকুনি পাতা খেলে মুক্তি মিলবে করোনার এমন খবরে অনেকেই আবার রাত জেগেই বনে বাগানে গিয়ে পাতা কুড়িয়ে পোষ্ট করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। কেউ আবার থানকুনি পাতা ফেসবুকে পোষ্ট করে দিয়েছেন নিজের নানা অভিমতও। কেউ বলেছেন এটা,একটা শিরকের সামিল। কেউবা আবার বলেছেন মুক্তি মিলতেও পারে।
এ ব্যাপারে ছারছীনা আলেয়িয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ড.সৈয়দ শরাফত আলী বলেন, এরকম কোন কথা তাদের দরবার থেকে বলা হয়নি। এটা একটা গুজব। সৈয়দ শরাফত আলী আরো বলেন, থানাকুনি পাতা একটা আল্লাহর নেয়ামত। এটা খেলে উপকার ছাড়া,কোন কোন ক্ষতি নেই। এটা কোন শিরকের মধ্য পড়েনা।
নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের প:প: কর্মকর্তা ডা: মো. ফিরোজ কিবরিয়া বলেন, যেখানে বড় বড় বিশ্বের গবেষকরা করোনা নিরাময়/প্রতিরোধের জন্য দিন রাত পরিশ্রম করছেন। সেখানে এ ধরনের একটি বিষয় হাস্যকর ও গুজব ছাড়া,আর কিছুই নয়। তবে তিনি বলেন, যেহেতু থানকুনি পাতা একটি উপকারি জিনিস। সেহেতু যে কেউ শরীরের উপকারের জন্য খেতে পারে এতে কোন বিধি নিষেধ নেই।
নেছারাবাদ থানার অফিসার ইন চার্জ(ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, বুধবার ভোর রাতে মোবাইলে এরকম একটি খবরের কথা শুনেছিলিম। এটা একটা গুজব। তাই তিনি কাউকে গুজবে কান না দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন