বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বোয়ালমারীতে হিল্লা বিয়ে না করায় প্রাণনাশের হুমকি ৭ জনের নামে থানায় অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ১৩ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের শেখর গ্রামে রাগের মাথায় স্ত্রীকে স্বামীর তালাক দেওয়ার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন পরিবারটিকে একঘরে করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই পরিবারকে ঈদের নামাজ পড়তে বাধা, বাড়ি থেকে বের হতে বাধা ও প্রাণনাশের হুমকিসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে সোমবার রাতে স্ত্রী নাছিমা বেগম শেখর গ্রামের বাসিন্দা ও আলফাডাঙ্গার শিয়ালদী মাদরাসা শিক্ষক মাওলানা আফজাল, শেখর গ্রামের আজাদ খন্দকার, শাহজাহান শেখ, মনির মোল্যা, ডালিম খন্দকার, মিজান মোল্যা ও মুক্তার শেখের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নাছিমা বেগমের স্বামী শফিজুল ইসলাম রাগের মাথায় তাকে তালাক দেন। এ ঘটনায় উল্লেখিত ব্যক্তিসহ কতিপয় মাতুব্বর তাদের দীর্ঘদিন একঘরে করে রেখেছে। ওই পরিবারটি এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের জানালে মাতুব্বরগণ রোজার শুরুতে ২ হাজার টাকা জরিমানা করে মীমাংসা করে দেন। ঈদের দিন শফিজুল ইসলাম দু’ছেলেকে নিয়ে শেখর ঈদগাহ্ মাঠে নামাজ পড়তে গেলে মাতুব্বররা নামাজ পড়তে বাধা দেয়। এ সময় উপস্থিত লোকজন এ ঘটনার বিরোধিতা করলে আফজাল মাওলানার নেতৃত্বে ১২ জন ওই ঈদগাহ থেকে বের হয়ে পাশের বনচাকী ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করে। আজাদ মাওলানাসহ অন্যরা তাদের হিল্লা বিয়ে না হলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছে। এ বিষয়ে আলফাডঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের শিয়ালদি মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আফজাল শরীফ মোবাইল ফোনে তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি কোনো হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন না। ঈদের দিন শেখর ঈদগাহে তিনি ছিলেন না। মীমাংসার দিন সালিশ বৈঠকেও তিনি হাজির ছিলেন না। তবে মীমাংসার বিষয়টি শুনেছেন। বোয়ালমারী থানার এসআই শহিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন