শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কাপাসিয়ায় থেমে নেই এনজিওদের কিস্তি আদায় কার্যক্রম

কাপাসিয়া (গাজীপুর) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ মার্চ, ২০২০, ৮:৫১ পিএম

করোনাভাইরাসের কারণে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। মানুষের নিজ ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ। আয়, ব্যবসা- বানিজ্য, কাজক্রমে ঘটেছে ছন্দপতন। নিন্মআয়ের সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক আয়- উপার্জন কমে গেছে। কিন্তু দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে থেমে নেই কাপাসিয়া উপজেলায় এনজিও কর্মীদের কিস্তির টাকা আদায় কার্যক্রম। অভিযোগ উঠেছে
এনজিও কর্মীরা তাদের কিস্তি টাকা আদায় করতে ঋৃণ গ্রহিতার বাড়িতে বাড়িতে এসে বসে থাকেন। এ দুঃসময়ে তারা কিস্তির টাকা কোথায় পাবে। এ নিয়ে দুঃখ দুঃখ ও হতাশাার কথা বলেছে গাজীপুর জেলা কাপাসিয়া উপজেলা তরগাঁও গ্রামের ব্যবসায়ী রুহুল আমিন,
পেওরাইট গ্রামের অটোরিকশা চালক মনির হোসেন, মাতাব, রাজমিস্ত্রী শ্রমিক রুহুল আমিন, ব্যবসায়ী ইকরাম সহ স্থানীয়রা।
সরজমিনে দেখা যায়, কাপাসিয়া উপজেলা সদরের প্রতিটি গলি ফাঁকা। রাস্তায় তেমন কোন লোক জন নেই । মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না । কসপাসিয়া বাজার এলাকার জনৈক রিক্সা চালক বলেন, প্রায় এক ঘন্টা রিক্সা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি এখনো একটি ভাড়া ও পাইনি। লোকজন ঘর থেকে বের না হওয়ার কারণে যাত্রী পাওয়া যায় না। আগে ৫ শত থেকে ১০০০ টাকা ইনকাম হতো। এখন ১০০টাকা ২০০টাকা ইনকাম হয়। কি ভাবে খাবো? কি ভাবে কিস্তি চালাবো? বড় চিন্তায় আছি ভাই। স্থানীয় বাসিন্দা লোকমান হেকিম বলেন, এই সংকটময় সময়ে ঋণের কিস্তি উত্তোলন স্থগিত করা ছাড়া উপায় নেই । এ মুহুর্তে ঋনের কিস্তি আদায় যেন মরার উপর খাড়ার ঘা ।
এনজিও’র ঋণ শ্রেণিকরণ আগামী জুন পর্যন্ত প্রযোজ্য হবে না বলে নির্দেশনা জারি করেছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ)। রবিবার (২২ মার্চ) এ নির্দেশনা জারি করা হয়। সোমবার (২৩ মার্চ) তা বিভিন্ন এনজিও কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছেছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, করোনার কারণে বিশ্ব বাণিজ‌্যের পাশাপাশি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। দেশের সার্বিক অর্থনীতির এ নেতিবাচক প্রভাবের ফলে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের ঋণ গ্রহীতাদের ব্যবসা-বাণিজ্য তথা স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির পরিচালক মোহাম্মাদ ইয়াকুব হোসেন স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় জারির পরও কোন কোন এনজিও এই নির্দেশনা মানছেনা ।

পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি, সেবা, দিশা, পদক্ষেপ, আশা, গ্রামীণ ব্যাংক, ব্র্যাক, বীজ,বাসা,শক্তি ফাউন্ডেশন, বুরো বাংলাদেশ সহ প্রায় ২০ এনজিও কাপাসিয়া উপজেলায় ঋণ কার্যক্রম সহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করছে । এনজিও প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে অনেক সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছেন এ কথা ঠিক। কিন্তু এনজিও কর্মকর্তাদের বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী কাজ করার আহবান জানিয়েছেন এলাকার লোকজন।

কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাঃ ইসমত আরা এ বিষয়ে জানান, আগামী জুন পর্যন্ত গ্রাহকদের কিস্তি টাকা পরিশোধে জন্য কোন চাপ প্রয়োগ করা যাবে না।

কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড, মোঃ আমানত হোসেন খান বলেন, এ বছর জুন পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের ঋণের কিস্তি বিষয়ে কোন চাপ প্রয়োগ করা যাবে না। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কাপাসিয়া উপজেলা প্রশাসন এনজিওদের ঋণের কিস্তি বন্ধ রাখার বিষয়ে চিঠি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে তারা জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন