অবশেষে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এলো করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষা। এরই মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্তে রোগীর নমুনা পরীক্ষার জন্য পলিমার চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) মেশিন। বৃহস্পতিবার রাতে মেশিনটি রামেক হাসপাতালের ল্যাবে আনা হয়। ফলে এখানেই এখন হবে করোনাভাইরাস পরীক্ষা। চিকিৎসায় সেবা সংশ্লিষ্টদের জন্য এক হাজার ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণও (পিপিই) পৌঁছেছে রাজশাহীতে। এছাড়াও এক হাজার পিস মাস্ক, এক হাজার হ্যান্ড-গ্লাভস এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ স্যানিটাইজার পাঠানো হয়েছে।
রামেক হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি রাজশাহী-২ (সদর) আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা শুক্রবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, শিগগিরই গণপূর্ত বিভাগ মেশিনটির স্থাপনকাজ শেষ করবে। আর স্থাপন হলেই এটির মাধ্যমে করোনাভাইরাস শনাক্তকরন পরীক্ষা সম্ভব হবে। আশা করছি, এর মধ্যেই হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার পর্যাপ্ত কিটও চলে আসবে। মেশিন স্থাপন ও তা পরিচালনার জন্য রাজধানী ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ আসবেন। মেশিন স্থাপনের পর তারা স্থানীয়ভাবে যারা পরিচালনা করবেন তাদের প্রশিক্ষিত করবেন। খুব শিগগিরই কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। আর কেবল রাজশাহী নয় রংপুরসহ দেশের আরও ৬ মেডিক্যাল কলেজে পিসিআর মেশিন পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই সেগুলো স্থাপন করা হবে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার করোনা চিকিৎসায় সেবা সংশ্লিষ্টদের জন্য একহাজার ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণও (পিপিই) পৌঁছেছে রাজশাহীতে। ঢাকা থেকে এসব উপকরণ পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন- রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম ফেরদৌস। তিনি জানান, পিপিই স্বল্পতা কাটাতে এই এক হাজার পিস পিপিই কাজে দেবে। এছাড়াও এক হাজার পিস মাস্ক, এক হাজার হ্যান্ড-গ্লাভস এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ স্যানিটাইজার পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার এসব পিপিই চিকিৎসা কাজে সংশ্লিষ্টদের মাঝে সরবরাহ করা হয়েছে।
এতদিন মেশিনের জন্য তারা অপেক্ষা করছিলেন। এটি না থাকায় তারা করোনা শনাক্তের কাজে হাত দিতে পারেননি। তাদের চাহিদামত শেষ পর্যন্ত মেশিনটি পৌঁছেছে। এখন মেশিন স্থাপন ও কিট এসে গেলে রামেক হাসপাতালেই পরীক্ষা করা যাবে। আর এক দিনের মধ্যেই রিপোর্ট পাওয়া যাবে। তবে এখন পর্যন্ত রাজশাহীতে করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি বলেও উল্লেখ করেন হাসপাতাল উপপরিচালক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন