ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার দাদপুর গ্রামের মাঠে হত্যার পর মাটি চাপা দেওয়া কেয়া খাতুন হত্যাকান্ডের ঘটনায় এজাহারভুক্ত ২নং আসামি ইসরাফিল হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে ইসরাফিলের মামা বাড়ি শৈলকুপা থেকে তাকে আটক করা হয়। সে উপজেলার ত্রিলোচনপুর গ্রামের আসাদুল ইসলামের ছেলে। কেয়া হত্যার পর থেকে সে পলাতক ছিল।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার এসআই আবুল খায়ের জানান, ইসরাফিল জেলার শৈলকুপায় তার মামা বাড়িতে পালিয়ে আছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে আসামি ইসরাফিলকে আটক করে। এরপর শনিবার সকাল ১০ টায় তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
এর আগে গত ১৭ মার্চ এই মামলার ১ নং আসামি মিলন হোসেনকে আটক করে পুলিশ। মিলন হত্যাকান্ডের ঘটনায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিসহ হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ উপজেলার ত্রিলোচনপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের কন্যা কেয়া খাতুন বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। এর ১৭ দিন পর দাদপুর গ্রামের মাঠের একটি কলাক্ষেতের পাশ থেকে মাটি চাপা দেওয়া গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুস সামাদ বাদি হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ মুহাঃ মাহাফুজুর রহমান মিয়া জানান, কেয়া হত্যার পর থেকে আসামী ইসরাফিল পলাতক ছিল। শুক্রবার রাতে কালীগঞ্জ থানা পুলিশের একটি চৌকস দল গোপন সংবাদ পেয়ে জেলার শৈলকুপা থেকে তাকে আটক করে। সে কেয়া হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী। শনিবার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে যোগ করেন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন