ঢাকার ধামরাইয়ে আছিয়া বেগম নামে এক গৃহবধূকে তার স্বামী হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আছিয়া শোলধন গ্রামের আবু সাইদের মেয়ে ও বাথুলী গ্রামের সেলিম হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী। ঘাতক সেলিম ও তার প্রথম স্ত্রী পলাতক রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দুপুরে উপজেলা সূতিপাড়া ইউনিয়নের বাথুলী গ্রামে।
এলাকাবাসী জানান, মৃত আছিয়া বেগমের আগে বিয়ে হয়েছিল উপজেলার হরিদাসপুর গ্রামের এক প্রবাসীর সঙ্গে। প্রথম স্বামী বিদেশ থাকাকালীন আছিয়ার সঙ্গে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়েন বাথুলী গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে বিবাহিত সেলিম (৪০)। এক পর্যায়ে প্রথম স্বামীর বিদেশ থেকে পাঠানো কয়েক লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে আসলে সেলিম তাকে বিয়ে করে প্রায় সাড়ে চার বছর আগে। বিয়ের ছয় মাসের পর থেকে সেলিম ও তার প্রথম স্ত্রী কহিনুর বেগম প্রায়ই তাকে (আছিয়াকে) মারধর করতো। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শনিবার দুপুরে আছিয়ার হাতে, পিঠে, গোপনাঙ্গে হাতুরি পেটা করে সেলিম। স্বামী,সতীন ও পরিবারের মারপিটের অসহ্য যন্ত্রনায় ঘরের ভিতর ফ্যান ঝুলানোর হুকের সঙ্গে রশি বেধে আত্মহত্যা করে আছিয়া। এরপর বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় সেলিম ও তার প্রথম স্ত্রী। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। নিহতের বাবা আবু সাইদ বলেন, তার মেয়েকে স্বামী, সতিন, দেবরসহ পরিবারের লোকজন পিটিয়ে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখেছে। এ হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, লাশের শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাতুরি দিয়ে পেটানোর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে বুঝা যাবে এটা হত্যা না আত্মহত্যা। তবে এ বিষয়ে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন