করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চাঁদপুর জেলায় সরকারি হাসপাতালসমূহে নিয়োজিত চিকিৎসক ও নার্সদের অর্ধেকও পিপিই (পার্সোনাল প্রোটেক্ট ইকুইপমেন্ট) পাননি। ৫৩৯ জন চিকিৎসক ও নার্সের মধ্যে ৩১৫ জন এখনো পিপিই পাননি। এতে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিয়ে বিতকর অবস্থায় রয়েছে চিকিৎসা কাজে নিয়োজিত চিকিৎসক ও নার্সরা। তবে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল (সদর) হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য প্রয়োজনীয় পিপিই নিশ্চিত করা হয়েছে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে দেখা যায়, চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালসহ জেলার ৮টি সরকারি হাসপাতালের ২০৪ জন চিকিৎসক ও ২৪৯ জন নার্সসহ মোট ৪৫৩ জন নিয়োজিত রয়েছে। এদের মধ্যে শুধুমাত্র ২২৪ জন চিকিৎসক ও নার্সকে পিপিই দেওয়া হয়েছে। আরো ২৬ সেট পিপিই মজুদ থাকলেও এখনও পিপিই পাননি সরকারি হাসপাতালের আরো ২২৯ জন চিকিৎসক ও নার্স। এছাড়া বেসরকারি হাসপাতালের ৪৩ জন ডাক্তার ও ৪৩ জন নার্সের কাউকেই এখনো পিপিই’র আওতায় আনা হয়নি।
সূত্র আরো জানায়, জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য সরকারিভাবে ৭৫টি ও বেসরকারিভাবে ২৩টি বেডসহ মোট ৯৮টি বেড প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের একটি ভবনে ২৫ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে।
এদিকে জেলার বেসরকারি ২০টি হাসপাতালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবার জন্য ২৩টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আর এ কাজে এসব হাসপাতালে ৪৩ জন চিকিৎসক ও ৪৩ জন নার্স নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জরুরী চিকিৎসার জন্য কাজে ৮টি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল বলেন, করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবার জন্য আমরা ইতিমধ্যে সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। চিকিৎসক ও নার্সদের পিপিইসহ অন্যান্য সামগ্রী ইতিমধ্যে আমাদের কাছে এসে পৌঁছেছে। যেসব জিনিসের স্বল্পতা রয়েছে, তা পৌঁছে যাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন