বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

চট্টগ্রামজুড়ে বড় ঝুঁকি কোয়ারেন্টাইন ফঁকি

শফিউল আলম | প্রকাশের সময় : ৩০ মার্চ, ২০২০, ১২:০১ এএম

বন্দরনগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম দেশের অন্যতম প্রধান প্রবাসী অধ্যুষিত অঞ্চল। আর ১৪ দিনে হোম কোয়ারেন্টাইন নির্দেশ ফঁকি দেয়া বিদেশফেরতের সংখ্যাও বেশি। চট্টগ্রামে বিভিন্ন স্থানে কর্মরত বিদেশি প্রচুর নাগরিক। চলতি মার্চ মাসের শুরু থেকে বেশিরভাগ প্রবাসী ও বিদেশিরা আসেন বিশে^র বিভিন্ন দেশ থেকে করোনা মহামারী সংক্রমণের মধ্যেই। হিসাব-নিকাশেই স্পষ্ট, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকাদের তুলনায় অমান্যকারীর সংখা অনেক বেশিই। এতে করে বড় ঝুঁকির খড়গ চেপে আছে চট্টগ্রামজুড়ে।

স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসন সূত্রে গতকাল রোববার জানা যায়, গত ১ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে বিদেশ থেকে আসেন ৩৯ হাজার ২৮৮ জন। এদের মধ্যে নাম-ঠিকানা, ফোন নাম্বার চিহ্নিত করা হয়েছে ৯৪৭ জনের। ওরা হোম কোয়ারেন্টাইনে। তবে আরও ৩৮ হাজার ৩৪১ জনের কোন হদিস নেই বা আগে চিহ্নিতও করা হয়নি। অর্থাৎ মোট বিদেশফেরত ব্যক্তিদের মাত্র ২ দশমিক ৪১ শতাংশ হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ এমনকি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অনেক বিলম্বে এসেই এখন হোম কোয়ারেন্টাইন ফাঁকিদাতাদের হন্যে হয়ে খুঁজছেন। কিন্ত সম্প্রতি বিদেশ প্রত্যাগত অধিকাংশই মহানগরী ও শহরতলী ছাড়াও প্রত্যন্ত গ্রাম-গঞ্জে ছড়িয়ে গেছেন।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানান, বিদেশফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখতে প্রশাসন মাঠে তৎপর। ৮ মার্চ কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশনা আসে ৬ টি দেশের ক্ষেত্রে। পরে নির্দেশ আসে সব দেশেরই প্রত্যাগতদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এতে করে প্রথম দিক থেকে বড় সংখ্যক বিদেশফেরত হোমের আওতার বাইরে চলে গেছে। তবে এখন প্রশাসনের সঙ্গে সেনাবাহিনীও বিষয়াদি দেখভাল করছে।
এদিকে চট্টগ্রাম বিভাগের সব জেলা মিলিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন ১২ হাজার ৭৬৫ জন। ছাড়পত্র নিয়ে গেছেন ৫ হাজার ৫৩৯ জন। আইসোলেশনে আছেন ৬ জন। আর এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন কক্সবাজারের একমাত্র বয়োবৃদ্ধ মহিলা। তার অবস্থা উন্নতির দিকে। গত শনিবার তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।

গতকাল সাবেক স্বাস্থ্য মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. এম এ ফয়েজ ইনকিলাবকে বলেন, বর্তমানে ‘আর টি- পিসিআর’ পদ্ধতিতে টেস্ট প্রক্রিয়া চলছে। আক্রান্ত সন্দেহে রোগীর খবর পেলে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় এবং চট্টগ্রামসহ আঞ্চলিক নির্দিষ্ট হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য আনা হচ্ছে। তবে সমগ্র বাংলাদেশের শহর-গ্রাম-গঞ্জের কমিউনিটি স্বাস্থ্য ক্লিনিকসহ এ ধরনের অবকাঠামো সুবিধা কাজে লাগিয়ে উপযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তায় প্রান্তিক পর্যায়ে ব্যাপক আকারে টেস্ট শুরু করা সম্ভব।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন