করোনা ভাইরাসের ধাক্কায় মাছের রেণুপোনা উৎপাদনের সূতিকাগার যশোরের হ্যাচারীগুলো বন্ধ রয়েছে। মৎস্যপল্লীতে খাঁ খাঁ করছে। অথচ মার্চ মাসটি রেণুপোনা উৎপাদন ও বিপননের ভরা মৌসুম। এমনিতেই খাদ্য, মেডিসিন ও উপকরণের অস্বাভাবিক মূল্যবদ্ধি, উৎপাদন খরচ ও বাজার মূল্যের বিরাট ফারাক, শিল্প হিসেবে বিন্দুমাত্র সুযোগ সুবিধা না থাকাসহ নানা সংকটে ছিল শিল্পটি। করোনা ভাইরাস একেবারে ধস নামিয়ে দিয়েছে। কথাগুলো দৈনিক ইনকিলাবকে জানালেন, যশোর জেলা মৎস্য হ্যাচারী মালিক সমিতির সেক্রেটারি জাহিদুর রহমান গোলদার। তার কথা, দেশের মোট চাহিদার প্রায় ৭০ভাগ রেণুপোনা উৎপাদনকারী যশোরের চাঁচড়া মৎস্যপল্লীতে হ্যাচারী ও নার্সারীগুলোর অবস্থা খুবই করুণ। ভরা মৌসুমে যে বিপর্যয়ে পড়েছি তার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না।
গতকাল সরেজমিন দেখা গেছে, দিনরাত ২৪ঘন্টা যেখানে হ্যাচারী ও নার্সারীগুলো থাকতো কর্মচাঞ্চল্য, সেখানে খুবই নাজুক অবস্থা। একরকম বন্ধই হয়ে গেছে। মালিকদের লোক ঘরবন্দি। শ্রমিকরাও রয়েছেন হাতগুটিয়ে ঘরবন্দি। হ্যাচারী ও নার্সারী মালিকরা জানান, চরম দুর্দিন যাচ্ছে হ্যাচারী ও নার্সারী মালিকদের। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত যেখানে দেশের বিভিন্নস্থানের ক্রেতাদের ভিড় হতো মৎস্যপল্লীতে। জাহিদুর রহমান গোলদার বললেন, নার্সারী ও হ্যাচারীতে রেণুপোনা উৎপাদন না হলে মাছ হবে দুস্প্রাপ্য। কারণ নদ-নদী, খাল বিল পানিশূন্য, প্রাকৃতিকভাবে রেণুপোনা আহরণ হচ্ছে না বললেই চলে। রেণুপোনা উৎপাদনের সূতিকাগার যশোর থেকে বছরের বারো মাস পোনা সরবরাহ করা হতো দেশের মোট চাহিদার ৭০ভাগ। যদিও এখন দেশের বিভিন্নস্থানে হ্যাচারী ও নার্সারী গড়ে উঠায় রেণুপোনা উৎপাদন যশোরে প্রায় ৫০শতাংশে নেমে আসে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন