বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের ফার্মেসিগুলোতে প্যারাসিটামল, অ্যান্টি-হিস্টামিন, অ্যান্টি-ম্যালেরিয়াল, ভিটামিন সি, অ্যাজিথ্রোমাইসিনসহ সাধারণ জ্বর, সর্দি ও কাশির ঔষধের কৃত্রিম সঙ্কট দেখা দিয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাদেশে ১০ দিনের ছুটি কার্যকর হওয়ার পর এই ঔষধগুলোর সঙ্কট দেখা দেয়।
ঔষধ ব্যবসায়ীরা জানান, এসব ঔষধ কিছু ব্যক্তি কিনে ঘরে মজুদ করে রাখতে গত সপ্তাহ থেকে দোকানে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। এ ধরনের ঔষধ ১০ পাতারও বেশি কিনে মজুদ করেছেন অনেকে। আর এ সুযোগে পাইকারি দোকানেও এসব ঔষধের দাম বেড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেক ফার্মেসি মালিক। তাদের অভিযোগ, নাপা ৫১০টি ট্যাবলেটের বাক্স ইতোমধ্যে ৩৫৮ টাকা থেকে ৩৭৫ টাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে ঔষধ কোম্পানিগুলো থেকেও পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকার অভিযোগ কোন কোন ফার্মেসি মালিকের। তাদের অভিযোগ, চাহিদা অত্যাধিক বেড়ে যাবার পরে সরবরাহ ঘাটতির কারণে এসব ঔষধের সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
বরিশাল মহানগরীর পাইকারী ও খুচরা ঔষধ বিক্রির নামিদামি প্রতিষ্ঠান থেকে জানা গেছে, গত ৪ মাসে প্যারাসিটামল, অ্যান্টিহিস্টামিন, অ্যান্টিম্যালেরিয়াল, ভিটামিন সি, অ্যাজিথ্রোমাইসিন জাতীয় ঔষধ যে পরিমাণ বিক্রি হয়েছে, গত এক সপ্তাহে হয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি। ঔষধ কোম্পানিগুলোতে চাহিদাপত্র পাঠানো হলেও কাঁচামাল সঙ্কটের কথা বলে সরবরাহ বিলম্বিত হবার কথা বলা হয়েছে।
বরিশালের সিভিল সার্জন ডা. মনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, বর্তমানে আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়ে জ্বর, সর্দি-কাশি বা সামান্য গলাব্যথা হতেই পারে। আমাদের অতিরিক্ত ঔষধ সেবনের প্রবণতা আছে। ওষুধের যৌক্তিক ও নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। মজুদ করার প্রবণতা থাকলে ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করতে পারেন বলে জানান তিনি।
ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের বরিশাল কার্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক অদিতি স্বর্ণা সাংবাদিকদের জানান, প্যারাসিটামল, অ্যান্টি-হিস্টামিন, ভিটামিন সি, অ্যাজিথ্রোমাইসিন জাতীয় ঔষধ সঙ্কটের কথা তার জানা নেই। তবে অ্যান্টিম্যালেরিয়াল ঔষধের সঙ্কট থাকতে পারে।
এ কারণে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর থেকে সংশ্লিষ্ট কোম্পনিগুলোকে অ্যান্টিম্যালেরিয়াল ঔষধ উৎপাদন ও সরবরাহ স্বাভাবিক করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন