শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

সিলেটে ৫ লক্ষাধিক শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল

প্রকাশের সময় : ১৫ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সিলেট অফিস : সিলেটে প্রায় ৫ লক্ষ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আগামীকাল শনিবার থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সারা দেশের ন্যায় সিলেটের ১২ উপজেলা ও নগরীতে এই কার্যক্রম চলবে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সিসিকের সম্মেলন কক্ষে সিলেটে কর্মরত সংবাদকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় এমন তথ্য জানানো হয়েছে। মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান ও সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) সচিব বদরুল হক।
সভায় সিসিকের সচিব বদরুল হক বলেন, এই দিন নগরীর ২১০টি স্থায়ী-অস্থায়ী এবং ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রে মোট ৬৫ হাজার ৯৯ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সিলেট নগরীতে এবার ৬-১১ মাস বয়সী শিশুদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৪শ’ ২২ জন, ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের লক্ষ্যমাত্রা ৫৮ হাজার ২৭৫ জন, ০৬ মাস-১১ মাস বয়সী প্রতিবন্ধী শিশুদের লক্ষ্যমাত্রা ৪০ এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রতিবন্ধী শিশুদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৬২ জন। মোট কেন্দ্রের মধ্যে নিয়মিত টিকাদান কেন্দ্র রয়েছে ৩০টি, অনিয়মিত ৯৭টি, অতিরিক্ত কেন্দ্র ৬১ ও ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রের সংখ্যা ২২। এই দিন নগর এলাকায় ৬৩০ জন স্বেচ্ছাসেবী টিকাদান কর্মসূচিতে সহযোগিতা করবেন।
অন্যদিকে, দুপুরে সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, জেলার ১২ উপজেলার ৪ লাখ ৪১ হাজার ৮৭৮ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার ৭২২ জন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৯৬ হাজার ১০৬ জন ধরা হয়েছে বলে জানান তিনি। জেলার বার উপজেলার স্থায়ী-অস্থায়ী ২ হাজার ৫৬৩টি কেন্দ্রে ৬ হাজার ৮৬০ জন স্বেচ্ছাসেবী টিকাদান কর্মসূচিতে কাজ করবেন। এ দিন প্রত্যেক কেন্দ্রে ৬-১১ মাস বয়সী প্রত্যেক শিশুকে ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল ও ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ১টি করে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
যদি কোনো শিশু গত ৪ মাসের মধ্যে ভিটামিন ‘এ‘ ক্যাপসুল খেয়ে থাকে তাহলে সেই শিশুকে আর ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। এছাড়া কান্নারত অবস্থায় বা জোর করে শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। কোনো শিশুকে আস্ত বা গোটা ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। ক্যাপসুলের মুখ কাঁচি দিয়ে কেটে ভেতরের তরল টুকু খাওয়াতে হবে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন