প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে মালয়েশিয়ায় তিন লক্ষাধিক অবৈধ বাংলাদেশিসহ সাত লাখ প্রবাসী কর্মী গৃহবন্দি। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব চলাকালে দেশটিতে প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীরা চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছে। অবরুদ্ধ অবস্থায় কর্মীদের খাবার জোগাড়ই বেশি সমস্যা হচ্ছে। ধার দেনা করে খাবার জোগাড় করতে হিমসিম খাচ্ছে কর্মীরা। কুয়ালালামপুর থেকে একাধিক সূত্র এতথ্য জানিয়েছে।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে সর্বসাধারণের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণে আনতে নেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। গত সোমবার বাংলাদেশি ব্যবসায়ী মিজান গ্লোবাল রিসোর্সের স্বত্বাধিকারী মিজান চৌধুরী দেশটির জহুরবারুতে অবস্থানরত প্রবাসীদের মাঝে স্বল্প সময়ের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
মালয়েশিয়া সরকারের অনুমতি না পাওয়ায় আওয়ামী লীগ মালয়েশিয়া শাখা ও অন্যান্য সামাজিক সংগঠন গৃহবন্দি প্রবাসী ক্ষুধার্থ কর্মীদের খাদ্য সামগ্রি বিতরণ করতে পারছে না।
কুয়ালালামপুর থেকে ভেস্ট মার্কেটিং এসডিএন বিএইচডি’র ডিরেক্টর মো. রুহুল আমিন জানান, করোনাভাইরাস ঠেকাতে মালয়েশিয়া সরকার জনগণের চলাফেরার ওপর কড়া নজরদারি আরোপ করেছে। তিনি বলেন, দেশটিতে প্রায় তিন লাখ অবৈধ কর্মী গৃহবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা কামাল হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ গৃহবন্দি প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের জন্য মালয় পুলিশের অনুমতি চাইলে তারা অনুমতি দেয়নি। ফলে অসহায় গৃহবন্দি কর্মীদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ নেয়া সম্ভাব হয়নি।
কুয়ালালামপুর থেকে গতকাল মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরের তন্তর গ্রামের প্রবাসী মো.আল আমিন জানান, মালয়েশিয়ায় অবরুদ্ধ অবৈধ কর্মীরা দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। অনেক কর্মীই ধার দেনা করে খাবার জোগাড় করছেন। আবাসনের বাইরে গেলেই পুলিশ ধরছে। অনেকেই অনাহার অনিদ্রায় দিন কাটাচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন