১৪৯২ ঈসাব্দের ১ এপ্রিল স্পেনের রাণী ইসাবেলা মুসলমানদের ধোঁকা দিয়ে বোকা বানিয়ে হাজার হাজার মুসলমানকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল।
খৃষ্ট জগতে বা মুসলিমবিদ্বেষী খৃষ্টান রাজ-রাণীর এ আনন্দঘন পৈশাচিকতার ঐতিহাসিক স্মারক দিবসই হচ্ছে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির ‘এপ্রিল ফুল’। তারা পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল মুসলমানদের নাম-নিশানা। মানবতার দুশমনরা পৃথিবীকে মুসলমান শূন্য করতে এহেন চক্রান্ত নেই যা তারা করেনি এখনও তাদের চক্রান্ত থেমে নেই।
এপ্রিল ফুল অর্থ এপ্রিলের বোকা। বোকা বানানোর দিবস। ধোঁকা দেবার দিন। এ দিনটিতে মিথ্যা বলে, কষ্ট দিয়ে কিংবা প্রতারণা করে হাস্যরস সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়। তাই হয়ে আসছে দীর্ঘদিন। প্রশ্ন হলো, দিবসটি এলো কীভাবে? আমরাই বা কেন পালন করছি এ দিবসটি? দিবসটি পালন করা মুসলমানদের জন্য কতটুকু যৌক্তিক? ১৪৯২ সালের ১ এপ্রিল তাইতো করা হয়েছিল। হ্যাঁ মুসলমানদের বোকাই বানানো হয়েছিল এপ্রিলের এই দিনটিতে।
এপ্রিল ফুল মুসলিম ইতিহাসের এক হৃদয় বিদারক ঘটনা। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, পাশ্চাত্যের কায়দায় মুসলিম দেশগুলোতেও প্রতিবছর কিছু লোক এপ্রিল ফুল পালন করে যাচ্ছে অবলীলায়।মুসলিম হত্যার নির্মম এই এপ্রিল ফুল মুসলমান পালন করতে পারে না।
ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস আজ বহু মুসলিম সে ইতিহাস ভুলে গিয়ে এপ্রিলের দিনটিতে স্বাচ্ছন্দে অংশগ্রহণ করছেন এবং প্রচুর কৌতুক ও রসিকতা উপভোগ করছেন। কিন্তু তারা জানতেই পারছেন না যে, দিনটি কীভাবে পালন শুরু হলো। এর পেছনে কী ছিল রহস্য। ইতিহাসের হৃদয়বিদারক ঘটনা ভুলে না গেলে এপ্রিল ফুল কোনো মুসলিমকে আনন্দ দান করতে পারে না। এখন আমরা কি পয়লা এপ্রিল হাসি-আনন্দের সাথে ‘এপ্রিল ফুল ডে’ উদযাপন করব, নাকি ইউরোপের বুকে অসহায় মুসলিম নারী-পুরুষ, শিশুদের নৃশংস হত্যাকান্ডের স্মরণে দুঃখ অনুভব করব, মুসলিম ভাই-বোনেরা ভেবে দেখবেন কি?
এপ্রিল ফুল ডের এ মর্মান্তিক ইতিহাস জানার পরও কি আমরা এ দিনটিকে আমোদ-প্রমোদ কিংবা আনন্দের দিন হিসেবে পালন করতে পারি? কক্ষনোই না। এ দিনটি আসলে হওয়া উচিত আমাদের শোকের দিন, ইসলামের শত্রুদের চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর দিন।
ইসলামের শাশ্বত সৌন্দর্য ও কল্যাণে আকৃষ্ট হয়ে বিশ্বের দেশে দেশে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা কায়েমের যে জোয়ার ওঠে, সেই ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে ইউরোপের মাটিতেও। অষ্টম শতাব্দীতে স্পেনে কায়েম হয় মুসলিম শাসন। মুসলমানদের নিরলস প্রচেষ্টায় স্পেন জ্ঞান-বিজ্ঞান, সাহিত্য-সংস্কৃতি ও সভ্যতার ক্ষেত্রে বিস্ময়কর উন্নতি লাভ করে। দীর্ঘ ৮শ’ বছর একটানা অব্যাহত থাকে এ উন্নতির ধারা। স্পেনে মুসলমানদের ৮শ’ বছরের গৌরবময় শাসনের ফলে দেশটিতে তখন অর্থসম্পদ, বিত্ত-বৈভবের অঢেল জোয়ার। মুসলমানরা ভোগ-বিলাসে মত্ত হয়ে ভুলে যায় কোরআন ও সুন্নাহর শিক্ষা। নৈতিক অবক্ষয় ও অনৈক্য ধীরে ধীরে গ্রাস করে তাদের। এ দুর্বলতার সুযোগ গ্রহণ করে খ্রিস্টান জগৎ। তারা মেতে উঠে কুটিল ষড়যন্ত্রে। সিদ্ধান্ত নেয়, ‘স্পেনের মাটি থেকে মুসলমানদের উচ্ছেদ করতে হবে।’ এ চিন্তা নিয়েই পর্তুগীজ রাণী ইসাবেলা চরম মুসলিম-বিদ্বেষী পার্শ্ববর্তী খ্রিস্টান সমরাট ফার্দিনান্দকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর দু’জন মিলে নেতৃত্ব দেন মুসলিম নিধনের। খ্রিস্টানদের সম্মিলিত বাহিনী হাজার হাজার নারী-পুরুষকে হত্যা করে গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়ে উল্লাস করতে করতে ছুটে আসে রাজধানী গ্রানাডায়। এতদিনে টনক নড়ে মুসলিম বাহিনীর। কখনো সম্মুখ যুদ্ধে মুসলমানদের পরাজিত করতে পারেনি বলে চতুর ফার্দিনান্দ পা বাড়ায় ভিন্ন পথে। তার নির্দেশে আশপাশের সব শস্যখামার জ্বালিয়ে দেয়া হয়। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয় শহরের খাদ্য সরবরাহের প্রধান কেন্দ্র ভেগা উপত্যকা। অচিরেই দুর্ভিক্ষ নেমে আসে শহরে। দুর্ভিক্ষ যখন প্রকট আকার ধারণ করলো তখন প্রতারক ফার্দিনান্দ ঘোষণা করলো, মুসলমানরা যদি শহরের প্রধান ফটক খুলে দেয় এবং নিরস্ত্র অবস্থায় মসজিদে আশ্রয় নেয়, তবে তাদের বিনা রক্তপাতে মুক্তি দেয়া হবে। সেদিন ছিল ১৪৯২ সালের ১ এপ্রিল। দুর্ভাগ্য তাড়িত গ্রানাডাবাসী অসহায় নারী ও মাসুম বাচ্চাদের করুণ মুখের দিকে তাকিয়ে খ্রিস্টানদের আশ্বাসে বিশ্বাস করে খুলে দেয় শহরের প্রধান ফটক। সবাইকে নিয়ে আশ্রয় নেয় আল্লাহর ঘর পবিত্র মসজিদে। শহরে প্রবেশ করে খ্রিস্টান বাহিনী মুসলমানদের মসজিদের ভেতর আটকে রেখে প্রতিটি মসজিদে তালা লাগিয়ে দেয়। এরপর একযোগে শহরের সমস্ত মসজিদে আগুন লাগিয়ে বর্বর উল্লাসে মেতে ওঠে হায়েনারা। লক্ষ লক্ষ নারী-পুরুষ-শিশু অসহায় আর্তনাদ করতে করতে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারায় মসজিদের ভেতর। প্রজ্বলিত অগ্নিশিখায় দগ্ধ অসহায় মুসলমানদের আর্তচিৎকার যখন গ্রানাডার আকাশ-বাতাস ভারী ও শোকাতুর করে তুলল তখন খ্রিস্টান প্রতারকরা হেসে বলতে লাগলো, ‘হায় এপ্রিলের বোকা! শত্রুর আশ্বাস কেউ বিশ্বাস করে?’ সেই থেকে খ্রিস্টান জগৎ প্রতিবছর ১ এপ্রিল আড়াম্বরের সাথে পালন করে আসছে-‘এপ্রিল ফুল’ মানে ‘এপ্রিলের বোকা’ উৎসব।
আমরা আর কতকাল আত্মবিস্মৃত হয়ে থাকব? নিজেদের ইতিহাস ঐতিহ্য সর্ম্পকে অজ্ঞতার ধারা আর কতদিন আমাদের মধ্যে বিরাজ করবে। অথচ এই অজ্ঞতাই আমাদের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক কাল হয়ে দেখা দিয়েছে।
খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। ১৯৯৩ সালের ১ এপ্রিল গ্রানাডা ট্র্যাজেডির ৫শ’ বছর পূর্তি উপলক্ষে স্পেনে আড়ম্বরপূর্ণ এক সভায় মিলিত হয়েছিল বিশ্ব খ্রিস্টান সম্প্রদায়। সেখানে তারা নতুন করে শপথ গ্রহণ করে একচ্ছত্র খ্রিস্টীয় বিশ্ব প্রতিষ্ঠার। বিশ্বব্যাপী মুসলিম জাগরণ প্রতিহত করার জন্য গড়ে তোলে ‘হলি মেরি ফান্ড’। আর এরই ধারাবাহিকতায় গোটা খ্রিস্টান বিশ্ব নানা অজুহাতে একের পর এক মুসলিম দেশগুলোতে আগ্রাসন চালাচ্ছে। অতএব সামনে ভয়াবহ দুর্দিন। এই দুর্দিনে এসব নব্য ফার্দিনান্দ-ইসাবেলাদের বিরুদ্ধে শান্তিকামী শক্তির চাই সুদৃঢ় ঐক্য। আর যদি তা করতে ব্যর্থ হই তবে অচিরেই গ্রানাডার মতো বধ্যভূমিতে পরিণত হবে গোটা মুসলিম বিশ্ব।
মুসলিমপিডিয়া, জুইস এনসাইক্লোপিডিয়া ও অন্যান্য এনসাইক্লোপিডিয়া ও ইতিহাস গ্রন্থের বরাতে ড. আবু বকর মুহাম্মদ যাকারিয়া সম্পাদিত ‘পহেলা এপ্রিল’ প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন, স্পেনের অত্যাচারিত মানুষদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুসলিম বাহিনী ৯২ হিজরি মোতাবেক ৭১১ খ্রি. স্পেনে প্রবেশ করে। মুসলিমগণই ইউরোপের মানুষদের জ্ঞানবিজ্ঞান শিক্ষা দেন। মুসলিম স্পেনের গ্রানাডা, কর্ডোভা ও অন্যান্য শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা পড়তে আসত। ৭১১-১৪৯২ খ্রি. পর্যন্ত প্রায় আটশ বছর স্পেন, ফ্রান্স ও পর্তুগাল মুসলমানরা শাসন করেছিল। এটি ছিল মুসলমানদের জন্য স্বর্ণযুগ। শেষ দিকে তাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল ছড়িয়ে পড়ে। মুসলিমরা কুরআন-সুন্নাহ ভুলে গিয়ে দুনিয়ার মায়ায় মত্ত হয়ে নেতার নির্দেশ অমান্য করায় পারস্পরিক শত্রুতা বেড়ে গেল। তখনই তারা স্পেন ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল। ফলে খ্রিস্টানরা ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন অঞ্চল মুসলিমদের থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়।
ঐতিহাসিকদের এক বর্ণনা মতে, তিন দিন পর্যন্ত হত্যার উৎসব চলেছিল। মসজিদের বাহিরেও অসংখ্য মুসলিমকে আগুনে পুড়িয়ে, পাহাড় থেকে ফেলে, সমুদ্রের মধ্যে জাহাজ ডুবিয়ে ও গণজবাই করে হত্যা করা হয়। অনেককে জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়। অথচ মুসলমানরা এ রকম একটি অবস্থার জন্য প্রস্তুত না থাকায় তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেদিন খ্রিস্টানগুরুর আদেশে জ্ঞান-বিজ্ঞানের মূল সূত্র লক্ষ লক্ষ আরবি পুস্তক পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। শুধু মুসলিমগণ নয়, ইয়াহুদীদের উপরও খ্রিস্টানগণ একই রূপ অত্যাচার করে।
অবশেষে খ্রিস্টানরা কর্ডোভার সেই ঐতিহাসিক মসজিদটিকে গীর্জায় পরিণত করেছে। মসজিদের ভেতরে দরজা ও জানালার ফাঁকে ফাঁকে মূর্তি স্থাপন করেছে। এভাবেই মুসলিম ঐতিহ্যকে ধ্বংস করা হয়েছে। এ ঘটনা ছাড়া আরো দুটি ঘটনার কথা উইকিপিডিয়াতে উল্লেখ থাকলেও বর্ণিত ঘটনাটিই সবচেয়ে বেশি প্রসিদ্ধ বলে ঐতিহাসিকরা মত প্রকাশ করেছেন। (দৈনিক ইনকিলাব, ২৮/৩/২০১৫)
দিবসটি মানুষের সাথে মিথ্যা আচরণ, ধোকা দেওয়া ও প্রতারণা মতো নোংরা ও জঘন্য কাজ চর্চা করার শিক্ষা দেয় এবং এতে আনন্দ খুঁজে পেতে উৎসাহ দেয় ।
যেহেতু পৃথিবীর আদিলগ্ন থেকে শত শত মানুষের হাতে গড়া জীবনব্যবস্থার বিপরীতে আল্লাহর মনোনীত একমাত্র দ্বীন আল ইসলাম লড়ে আসছে, সেহেতু সত্যের খুঁজে ঐ একমাত্র সফল ধর্মটির নিকট ফিরে যাওয়াই বাঞ্চনীয় । আর এই সত্যের রেখা ধরেই এইসব অনাচার ও অপসংস্কৃতিকে বর্জন করা সম্ভব । তাই এই বিষয়ে ইসলামের কিছু সতর্কবার্তা নিচে উল্লেখ করেই শেষ করছি-
একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাবারের এক স্তুপের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। তিনি খাবারের স্তুপে হাত প্রবেশ করালেন, তার আঙুলগুলো ভিজে গেল। তাই তিনি বললেন, ‘হে খাবারওয়ালা, এটা কি ? সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল, তাতে বৃষ্টির পানি পড়েছিল। তিনি বললেন, তুমি কি তা খাবারের উপরে রাখতে পারলে না, যাতে মানুষ তা দেখে ? যে প্রতারণা করে, সে আমার দলভুক্ত নয়।’ অন্য রেওয়ায়েতে আছে ‘যে আমাদের সাথে প্রতারণার আশ্রয় নেয়, সে আমাদের দলভুক্ত নয়’। অপর রেওয়ায়েতে আছে ‘সে আমাদের দলভুক্ত নয়, যে প্রতারণার আশ্রয় নেয়।’ (মুসলিম)
রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেন: 'চরম সর্বনাশ ঐ ব্যক্তির জন্য যে মানুষকে হাসানোর উদ্দেশ্যে মিথ্যা কথা বলে থাকে । তার জন্য সর্বনাশ, তার জন্য সর্বনাশ ।' (তিরমিযীঃ ২৩১৫; আবু দাউদঃ ৪৯৯০)। মুসলিম ইতিহাসের চরম এই দিনে মুসলমানের অনেক সন্তান ইহুদিদের চক্রান্তের শিকার হয়ে অনেক ক্ষেত্রে না বুঝে এপ্রিল ফুল পালন করে মানুষকে চরম ধোঁকা দিয়ে আসছে। এ থেকে তাদের বিরত রাখা অভিভাবক ও শিক্ষকগণের দায়িত্ব।
৭১১ ঈসাব্দে তারিক বিন জিয়াদ জিব্রাল্টার প্রণালী (জাবালুত তারিক বা তারিকের পাহাড়)অতিক্রম করে স্পেনে প্রবেশ করেন এবং তার জাহাজগুলো পুড়িয়ে দেন। তখন স্পেনের খ্রিস্টান বাহিনীর প্রধান ছিলেন রডারিক। রডারিক চিঠি পাঠান তারিককে এই মর্মে যে, তারিক, তুমি চলে যাও। আমি জাহাজ দিচ্ছি। আমার পিছনে তোমার চেয়ে কয়েকগুন বেশি সৈন্য এবং তারা তোমার চেয়ে বেশি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত। সুতরাং ‘অসমযুদ্ধে’ লিপ্ত হয়ে অযথা রক্তপাতের দরকার আছে? তারিক সেদিন মুসলিম বাহিনীর কাছে সিদ্ধান্ত ছেড়ে দেন। তিনি বলেন, দুটি বাস্তবতা আপনাদের সামনে। এক. স্পেনকে মুসলিম সাম্রাজ্যভুক্ত করতে জিহাদ করা দুই. ভূমধ্যসাগরে আত্মাহুতি।রডারিকের প্রস্তাব শুনে কাপুরুষের দৃষ্টান্ত দেখানো যাবে না। মুসলিমরা প্রথমটি বেছে নিলেন। তারিক এবার রডারিককে লিখলেন, রডারিক, তুমি জানো না যে, তুমি কার সাথে কথা বলছো? আরে তোমার পেছনে যারা আছে, তারা তো মৃত্যুকে ভয় পায়। আর আমার পেছনে যারা আছে, তারা তো মৃত্যুর জন্য পাগল।সেদিন তারিক সেই কথিত ‘অসমযুদ্ধে’ বিজয়ী হয়েছিলেন। তাহলে আজ কোথায় আমাদের মুসলিম চেতনা। এই চেতনাবোধই পারে বিশ্বের সকল মুসলিম সমস্যার সমাধান এন দিতে। দেখুন না, খ্রিস্টানরা আমাদের সেনাপতির নামটি ভুলিয়ে দেয়ার জন্য ‘জিব্রাল্টার প্রণালী’ শিখিয়ে দিচ্ছে আমাদের। ঈসা আ. আমাদের নবী। তার জন্মদিন থেকে যে সালের উৎপত্তি সেই সালটির নাম হবে ঈসাব্দ। কিন্তু হায়, অবলীলায় আমরা বলছি খ্রিস্টাব্দ। এই ভুলোমনা অবস্থার পরিবর্তন চাই। কেননা, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেন: ‘যে ব্যক্তি যে জাতির অনুকরণ করবে, সে ব্যক্তি সেই জাতিরই একজন বলে গণ্য হবে’ (আবূ দাঊদঃ ৪০৩১)
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন