কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যংপাড়ায় (পরীর পাহাড়) গহিন সংরক্ষিত পাহাড়ি বনের ২৫টি স্থানে আগুন লেগে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বনাঞ্চল। স্থানীয়রা বলছেন বন কর্মীদের গাফলাতিতে পাহাড়ে অবস্থানকারী রোহিঙ্গা সশস্ত্রগোষ্ঠী নাশকতার নেপথ্যে এ ঘটনা ঘটাতে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অন্ধকার ঘনিয়ে আসার আগে পাহাড়ে ধোঁয়ার কুন্ডলী দেখে বনবিভাগকে অবহিত করেন। তখন বনপ্রহরী মুখলেছুর রহমান তাতে কোন পাত্তা দেয়নি এবং বিষয়টি উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেননি। প্রায় ৫ কিলোমিটারের মধ্যে শতাধিক একর পাহাড়ি বন পুড়ে যায়।
টেকনাফ স্টেশনের ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মুকুল কুমার নাথ বলেন, পাহাড়ে আগুন লাগার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। তবে অন্যান্য জায়গায় এখনো আগুন জ¦লছে।
টেকনাফ রেঞ্জ কর্মকর্তা আশিক আহমদ জানান, পাহাড়ের ভেতর হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢুকতে পারছে না। বনকর্মী, পাহারা সদস্য ও এলাকার শতাধিক লোকজন আগুন নেভাতে কাজ করছে। রাত সাড়ে ১০ টায় কিছুতা নিয়ন্ত্রণ আসলেও অনেক জায়গায় আগুন জ¦লছে। এদিকে, টেকনাফ উপজেলার রইক্ষ্যং পুঁটিবনিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকান্ডে লার্নিং সেন্টার, চাকমা ও রোহিঙ্গাদের বসতঘর, দোকান ও হাসপাতালসহ ১৮টি স্থাপনা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এই অগ্নিকন্ডেে শিশুসহ ২জন আহত হলেও আরো ১০ রোহিঙ্গার ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে উপজেলার হোয়াইক্যং ঊনছিপ্রাংয়ের ২২নং রইক্ষ্যং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রেলিগেশন-১ পয়েন্ট এলাকায় অগ্নিকন্ডের সুত্রপাত হয়ে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতি পরিবারকে ২ বাইন টিন ও নগদ ৬ হাজার টাকা অনুদান দেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন