শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

জার্মানি-যুক্তরাজ্যে চিকিৎসার ফারাক বিস্ময়কর

করোনায় শনাক্ত ১০ লাখ ছড়াল : মৃত অর্ধ লাখ ছড়াল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০২ এএম | আপডেট : ১২:১৩ এএম, ৩ এপ্রিল, ২০২০

শনাক্ত : ১০,০০,১৭৭ মৃত : ৫১,৩৫৬ সুস্থ : ২,১০,১৯৯

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারীতে একদিকে আরও ৩ সহস্রাধিক আদম সন্তানের প্রাণহানির পর মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজারের গন্ডি ছাড়িয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে নিশ্চিত শানাক্তের সংখ্যা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ছুঁইছুঁই করছে ১০ লাখের সীমা। স্পেনে গতকাল নতুন করে আরো ৯৫০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর ফলে দ্বিতীয় দেশ হিসেবে প্রাণহানিতে ১০ হাজারের অঙ্ক ছাড়িয়ে গেল। প্রথম দেশ ইতালিতে মোট মৃতের সংখ্যা ১৩ হাজার ১৫৫ এবং দেশ দু’টিতেই করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি। যুক্তরাষ্ট্রে নিশ্চিত হওয়া করোনা রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ১৬ হাজারের বেশি। যুক্তরাজ্যে গতকাল আরো ৫৬৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এদিন আরো মৃত্যু হয়েছে- বেলজিয়ামে ১৮৩, হল্যান্ডে ১৬৬, ইরানে ১২৪, সুইডেনে ৪৩, জার্মানিতে ৩১, পর্তুগালে ২২, ডেনমার্কে ১৯, সুইজারল্যান্ডে ১৭, যুক্তরাষ্ট্রে ১৬, কানাডায় ১৫ এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১১ জনের।
এদিকে আড়াই লাখ করোনা রোগীর ফাইল ক্লোজ হয়ে গেছে। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৫০ হাজারের এবং ২ লাখ ৩ হাজারের বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। অন্যদিকে বর্তমানে শয্যাশায়ী থাকা ৭ লাখ ১০ হাজার রোগীর মধ্যে ৫ শতাংশ তথা ৩৫ হাজার ২২৫ জন সঙ্কটাপন্ন রয়েছেন এবং বাকি ৬ লাখ ৭৪ হাজার সামান্য লক্ষণ নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ওদিকে চিকিৎসাব্যবস্থায় জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের বৈষম্য অবাক করে দিচ্ছে। উভয়েরই চিকিৎসা উৎকর্ষতার দীর্ঘ এবং গর্বিত ইতিহাস রয়েছে, উভয়ই আন্তর্জাতিক ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্টদের হোম এবং উভয়ই একটি অভিন্ন জৈবিক হুমকির মুখোমুখি। তবুও তাদের পরিস্থিতিতে বিরাট ফারাক।
করোনাভাইরাস সঙ্কটের এমন একটি দিক রয়েছে যা ব্রিটেন এবং জার্মানিকে অন্য যে কোনও তুলনায় আলাদা করে দেয়, সেটি হচ্ছে পরীক্ষা। ব্রিটেন যেখানে এক সপ্তাহে ৫০ হাজার পরীক্ষা চালাতে সক্ষম, সেখানে জার্মানি প্রতিদিন এর দ্বিগুণ করে পরীক্ষা চালাচ্ছে।
বিষয়টিকে ফুটবলের দৃষ্টিতে বিচার করলে আমরা জার্মানি সম্পর্কে বলতে পারি যে, তারা পুরো এফএ কাপের ফাইনাল ম্যাচের দর্শকদের সমান লোককে একদিনে পরীক্ষা করতে পারে। এর বিপরীতে জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থা একই সময়ে পারে পিটারবরো ইউনাইটেডের নিজেদের দর্শকদের পরীক্ষা করতে। অন্যান্য সূচকগুলিও রয়েছে। এই সঙ্কট শুরুর দিকে আমরা যদি নিবিড় পরিচর্যা বেডের সংখ্যার তুলনা করি (২৮,০০০ বনাম ৪,০০০) বা ভেন্টিলেটর (২৫,০০০ বনাম ৬,০০০), জার্মানি স্পষ্টভাবে এগিয়ে।
যদিও বর্তমানে জার্মানির নিজস্ব প্রায় ৮০ হাজার শনাক্ত রোগী রয়েছে, তথাপি তারা এখনও ইতালির সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চল বার্গামোয় চিকিৎসার জন্য অতিরিক্ত রোগীদের কাছে যেতে সক্ষম। তবে পরীক্ষার ইস্যুতে এই ফাঁকটি সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হচ্ছে। যুক্তরাজ্যে আমরা মাস্ক এবং এপ্রনে নার্সদের কোনও ফানফায়ার কার পার্ক বা আইকেয়ায় জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মীদের জন্য ড্রাইভ-ইন সোয়াব পরীক্ষা করতে দেখি। জার্মানিতে এটি একটি দেশব্যাপী সামরিক অভিযান। সার্বিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা স্যুটে সজ্জিত পশুচিকিৎসা অনুশীলনসহ প্রতিটি সেক্টরের পরীক্ষাগার সহায়তা রয়েছে।
সুতরাং, জার্মানি কীভাবে সমস্ত সঠিক কাজ করেছে বলে মনে হয়?
ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইউরোপীয় ডাক্তার ও জার্মান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সভাপতি অধ্যাপক ফ্র্যাঙ্ক উলরিচ মন্টগোমেরি বলেছেন, ‘সমস্ত সঠিক জিনিস বলে কিছু নেই’। ‘আমরা ভাগ্যবান এবং মনে রাখবেন, প্রতিটি মহামারীই বিশৃঙ্খলা’। জার্মানি অবশ্য নিজের ভাগ্য তৈরি করেছে। প্রফেসর মন্টগোমেরি তিন মাস আগে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের দিকে ইঙ্গিত করেন, ঠিক যেমন প্রথম খবরে চীনের শহর উহান থেকে প্রকাশ শুরু হয়। সরকারিভাবে, জার্মানি এখনও জনস্বাস্থ্যের জন্য ‘খুব কম’ ঝুঁকির কথা বলছিল। তবে এর অর্থ এই নয় যে, তারা চিন্তিত ছিল না।
প্রফেসর মন্টগোমেরি বলেছেন: ‘চীনে মহামারীর প্রথম খবর শোনামাত্রই আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রী ভাইরোলজিস্ট এবং এপিডেমিওলজিস্টদের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। আমরা আমাদের ‘পান্ডেমিয়া প্ল্যান’ সংশোধন শুরু করি। উহানের লকডাউনে যাওয়ার আগেও আমরা কী ঘটতে পারে তার জন্য খুব হাল্কাভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ‘সুতরাং, উদাহরণস্বরূপ, আমরা আইসিইউ (নিবিড় যতœ ইউনিট) বেডের সংখ্যা দেখেছি। আমাদের মধ্যে ২৮ হাজার ছিল এবং মহামারী হওয়ার ক্ষেত্রে এগুলি অপর্যাপ্ত বলে বিবেচনা করেছি, তাই আমরা কীভাবে অন্যান্য ওয়ার্ডগুলিকে আইসিইউ বেডে রূপান্তর করতে পারি তা নিয়ে কাজ করেছি।
জার্মানরাও প্রথম এবং প্রায়শই পরীক্ষা শুরু করে। বুবলোনিক প্লেগের মহামারী মোকাবেলায় ১৭১০ সালে রাজা ফ্রেডেরিকের প্রতিষ্ঠিত বার্লিনের চ্যারিট হাসপাতাল প্রথম কার্যকর ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা করেছিল ১৬ জানুয়ারি। এটা ছিল ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্য বিভাগ অনুরূপ কিছু অনুমোদনের ঠিক এক মাস আগের ঘটনা। মার্চের মাঝামাঝি নাগাদ হাসপাতালটি জার্মান বায়োটেক সংস্থা টিআইবি মোলবিওলের সাথে একত্রে চার মিলিয়ন টেস্টিং কিট প্রস্তুত এবং রফতানি করে।
‘প্রতিটি মহামারীর মধ্যে একটি সমস্যা হ’ল আপনার বেস ডেটা খুব সীমিত এবং খুব সুরক্ষিত’, -এই অধ্যাপক ব্যাখ্যা করেন। ‘আমরা এক সপ্তাহে ১ লাখ পরীক্ষার সক্ষমতা নিয়ে শুরু করেছিলাম, তবে এখন তা সপ্তাহে ৫ লাখে পৌঁছেছে, যা সম্ভবত এখন আমাদের সামর্থ্যরে সীমায়’। এই প্রাথমিক পরীক্ষাগুলি ১৫ ফেব্রæয়ারি কার্নিভালের পরে, ডাচ সীমান্তের কাছাকাছি গ্যাংজল্টে আবির্ভ‚ত হওয়ার মতো কর্তৃপক্ষকে এখনই ক্লাস্টারগুলি সন্ধান করতে সক্ষম করেছিল।
যোগাযোগের সন্ধানের কাজটি চলাকালে কোনও সময় শহরটি আইসেলোশনে ছিল। রোগটি কীভাবে ছড়িয়ে পড়ে তা পরীক্ষা করার জন্য এটি এখন একটি ‘পরীক্ষাগার’ হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রথমত, ব্রিটেনের লক্ষ্যযুক্ত পরীক্ষার প্রাথমিক ব্যবস্থা - যারা বিদেশের হটস্পটগুলি থেকে ফিরে এসেছিল এবং লক্ষণগুলি দেখিয়েছিল তাদের মধ্যে - খুব ভালভাবে কাজ করছে। তবে মার্চের গোড়ার দিকে মন্ত্রীরা হাসপাতালে ভর্তিচ্ছুদের মধ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা সীমাবদ্ধ করার জন্য একটি পদক্ষেপ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। লক্ষণযুক্ত অন্য যে কোনও ব্যক্তিকে বাড়িতে আইসেলোশনে যেতে বলা হয়েছিল।
বিজ্ঞানী, চিকিৎসক এবং রাজনীতিবিদদের মধ্যে এখন ঐক্যমত্য রয়েছে যে, এটি একটি ভুল ছিল। জার্মানি যতটা সম্ভব লোকদের পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছিল, ব্রিটেনের ছবিটি ছিল আরও বিভ্রান্তিকর। সুনির্দিষ্ট নীতি সম্পর্কিত প্রশ্ন ছাড়াও ইউকে/জার্মান পরিসংখ্যানগুলিতে এই ছত্রাকের পিছনে তিনটি কারণ রয়েছে বলে মনে হয়।
একটি সরবরাহের ইস্যু। বিদ্যমান অ্যান্টিজেন পরীক্ষাগুলি প্রচুর রাসায়নিক সরবরাহের ওপর নির্ভর করে যার এখন বিশ্বজুড়ে চাহিদা রয়েছে। জার্মানিই কেবল আমাদের চেয়ে বেশি উৎপাদন করে। একটি দ্বিতীয় কাঠামোর একটি। প্লেটটিতে অন্যান্য সমস্ত ইস্যু ছাড়াও যুক্তরাজ্যের জনস্বাস্থ্য ইংল্যান্ডের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত টেস্টিংসহ একটি কেন্দ্রীয় ব্যবস্থা রয়েছে।
জার্মানিতে, এর ১৬টি রাজ্যের নিজস্ব স্বাস্থ্যসেবা সিস্টেম রয়েছে। তবে তারা সকলেই রবার্ট কোচ ইনস্টিটিউট, সংক্রামক রোগ পরিচালনা করার জন্য বিশেষভাবে গঠন করা ফেডারেল স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং জাতীয় সংস্থার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। এই দ্বৈততা বৃহত্তর নমনীয়তা এবং উদ্ভাবনের অনুমতি দিয়েছে বলে মনে হয়। তৃতীয়টি হল দর্শনের একটি। জার্মানি যুক্তরাজ্যের তুলনায় স্বাস্থ্যের জন্য ২ শতাংশ বেশি জিডিপি (এবং এটি উচ্চতর জিডিপি) ব্যয় করতে প্রস্তুত হয়েছে। এটি বৃহত্তর সক্ষমতা তৈরি করেছে।
অধ্যাপক মন্টগোমেরি বলেন, ‘আমি মনে করি সমস্ত দেশ ‘জাস্ট-ইন-টাইম’ তত্তে¡ নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে, বিশেষত ব্রিটেন’। এখন যা পরিষ্কার তা হ’ল আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাগুলিরও ‘জাস্ট ইন কেস’ বিষয়ের দিকে বেশি মনোযোগ দেয়া উচিত ছিল। প্রফেসর মন্টগোমেরি বলেন, ‘আমাদের সকলকে অর্থনৈতিক নীতি অনুসারে বাঁচতে হবে, তবে আমাদের অর্থনীতিবিদদের সবকিছুর উপর বিজয়ী হওয়া উচিত নয়’।
ব্রিটেনে যা ঘটছে তাতে তার গভীর আগ্রহ, ব্রিটিশ পাসপোর্ট থাকার কারণে নয়, কারণ তার নামটি দেশটির সাথে জুড়ে আছে (তার বাবার পরিবার লিভারপুলের বাসিন্দা)।
এবং তিনি তাৎক্ষণিকভাবে উল্লেখ করতে পারেন যে, এক দিক থেকে দুই দেশই স্তরের স্ত‚পে রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের উভয়েরই প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জামের ঘাটতি রয়েছে। ‘আমি মনে করি জার্মানিতে আমরা ভেবেছিলাম আমাদের পর্যাপ্ত আই-শিল্ড এবং মাস্ক থাকবে এবং আমাদের যদি আরও বেশি প্রয়োজন হয় তবে আমরা কেবল তা চীন থেকে উড়িয়ে আনতে পারি যে বিষয়ে আমলারা ভাবতে ব্যর্থ হন’। সূত্র : ডেইলি মেইল ও ওয়ার্ল্ডমিটার্স।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
Omar Faruque ৩ এপ্রিল, ২০২০, ১:২৯ এএম says : 0
সবাইকে অনুরোধ করছি করোনার এই মহামারীর সময় যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী অসহায় মানুষদের যেভাবে পারেন সাহায্য করুন।সামর্থ্য যদি না থাকে অন্তত নিজের খাবারের থালায় একমুঠ কম খেয়ে সেই চাল,ডাল,সব্জি কিছুদিন জমিয়ে সেটা দিয়ে ক্ষুধার যন্ত্রনায় থাকা একজন মানুষকে হলেও সাহায্য করুন।আর তাও যদি না পারেন সাহায্য করার মনমানসিকতা ভিতরে রাখুন।তাহলেই আমরা নিজেদের সত্যিকারের মানুষ ভাবতে পারব।পৃথিবীর কোথাও যদি একটা মানুষ ক্ষুধার যন্ত্রনায় কাতরায় সেটা সমগ্র ক্ষুধামুক্ত মানবজাতির জন্য লজ্জার ব্যাপার।হায়!সেটা যদি আমরা সবাই উপলব্ধি করতে পারতাম।তাহলে বদলে যেত পৃথিবী।
Total Reply(0)
Farzana Santa ৩ এপ্রিল, ২০২০, ১:৩০ এএম says : 0
মাত্র 50 হাজারে এত হাহাকার,, সিরিয়া, আফগানিস্তান, ইরাকের, গনহত্যার সময় তোমরা কোথায় ছিলে???
Total Reply(0)
Sushanta Paul ৩ এপ্রিল, ২০২০, ১:৩০ এএম says : 0
আরে যে কত প্রাণ যাবে...। অত্যন্ত দুঃখজনক! তবুও বলতে বাধা হচ্ছি, আমাদের অসচেতনতা আমাদের প্রাণ নিয়ে যাবে।
Total Reply(0)
Aman Ahmed ৩ এপ্রিল, ২০২০, ১:৩১ এএম says : 0
এক করোনার কাছে পুরো বিশ্ব আজ অচল। শুধু আমাদের বাংলাদেশই সফলতার সাথে করোনার মোকাবেলা করছে। জয় বাংলা
Total Reply(0)
Muhammad Shafiuddin ৩ এপ্রিল, ২০২০, ১:৩১ এএম says : 0
সংখ্যাটা কোথায় গিয়ে শেষ হয়,তা একমাত্র আল্লাহ জানেন
Total Reply(0)
মাসুদ রানা ৩ এপ্রিল, ২০২০, ১:৩২ এএম says : 0
ইতালিতে করোনা সনাক্ত হওয়ার পর ৪৫ তম দিনে মহামারী রুপ ধারণ করে। স্পেনে ৫০ তম দিনে আর যুক্তরাষ্ট্রে ৫৫ তম দিনে। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হওয়ার ২৩ তম দিন শেষ হলো আজ। যুক্তরাষ্ট্রে ২৩ তম দিনে রোগী ছিলো মাত্র ১১ জনের মত। সুতরাং "ভাইরাস থাকলে তো এতদিনে লক্ষণ প্রকাশ পেত" এমন মতাদর্শে বলীয়ান মহামানবেরা সাবধান। আমাদের ৫১ জন সনাক্ত হয়েছে। তাও টেস্টের ব্যাপক ঘাটতি। এখনও সময় আছে আর একটু সতর্ক হওয়ার। নাহলে চরম মূল্য দিতে হতে পারে। বুঝে নিন কেন সেনা বাহিনী কঠোর হচ্ছে,,,কেন ১ লাখ এর বেশি বেড বানানো হচ্ছে,,, কেন অস্থায়ী অনেক হাসপাতাল বানানো হচ্ছে,,,কোথায় গিয়ে ঠেকবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি,,,সাবধান হোন দয়া করে। আমরা already থার্ড স্টেজে আছি। জানিনা কার কপালে কি লিখে রেখেছে আমাদের পরম করুনাময় আল্লাহ তালা। নামাজ পরুন আল্লাহকে ডাকুন। আল্লাহ অসীম দয়াশীল অবশ্যই আল্লাহ আমাদের সবাইকে মাফ করে দিবেন আমিন।
Total Reply(0)
মোহাম্মদ রমিজ ৩ এপ্রিল, ২০২০, ১:৩৩ এএম says : 0
হে আল্লাহ!আমরা তোমার নিকট এ ভাইরাসের ভালো দিক, এতে যে কল্যাণ রয়েছে তা এবং যে উদ্দেশ্যে তা নিদের্শপ্রাপ্ত হয়ে এসেছে তার উত্তম দিকটি প্রার্থনা করছি। এবং তোমার নিকট এর খারাপ দিক হতে,এতে যে অকল্যাণ রয়েছে তা হতে এবং এটা যে উদ্দেশ্যে আদেশপ্রাপ্ত হয়ে এসেছে তার মন্দ দিক হতে আশ্রয় চাই।
Total Reply(0)
আলামিন ৩ এপ্রিল, ২০২০, ৮:২৮ এএম says : 0
আমাদের আর ও সাবধানে থাকতে হবে
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন